এবারের আইপিএলে এই পেসারের না খেলা একরকম নিশ্চিত, আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাকে নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রবল।
Published : 27 Feb 2024, 11:10 AM
মোহাম্মদ শামির চোটের অবস্থা নিয়ে সুনিশ্চিত কোনো তথ্যই পাওয়া যাচ্ছিল না অনেক দিন ধরে। নানা গুঞ্জন অবশ্য চলছিল। সেসবকে সত্যি প্রমাণ করেই অবশেষে আনুষ্ঠানিক বার্তায় সরাসরি অস্ত্রোপচারের খবর দিলেন তিনি। ভারতের অভিজ্ঞ পেসার জানালেন, গোড়ালিতে অস্ত্রোপচারের পর এখন তিনি দ্রুত নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অপেক্ষায়।
লন্ডনে সোমবার এই অস্ত্রোপচার হয় শামির। অস্ত্রোপচারের টেবিলের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে ৩৩ বছর বয়সী পেসারের বার্তা, “মাত্রই গোড়ালির সফল অস্ত্রোপচার হলো একিলিস টেন্ডনে। সেরে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে, তবে দ্রুতই নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াতে তর সইছে না আমার। সবার জন্য ভালোবাসা।”
শামি দ্রুত ফিরতে চাইলেও বাস্তবতা বলছে, অনেকটা সময়ই তাকে থাকতে হবে মাঠে বাইরে। এবারের আইপিএলে তার না খেলা একরকম নিশ্চিতই। এমনকি আগামী জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ভারতের তাকে না পাওয়ার শঙ্কা প্রবল।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে অবশ্য এই সংস্করণে তাকে খেলায়নি ভারত। জাতীয় দলের চেয়ে বড় ধাক্কাটা এসেছে আসলে তার আইপিএল দল গুজরাট টাইটান্সের জন্য। ২০২২ আসরে আইপিএল অভিষেকেই গুজরাটের শিরোপা জয়ে দলের সর্বোচ্চ ২০ উইকেট শিকার করেন শামি। গত মৌসুমে গুজরাট ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে গেলেও ২৮ উইকেট নিয়ে তিনিই ছিলেন আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
এবার অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে আগেই হারিয়েছে গুজরাট। তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়ে এই অলরাউন্ডার ফিরে গেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে। সফল অধিনায়ককে হারানোর পর এবার তাদের জন্য এলো সফল বোলারকে হারানোর চোট।
গত নভেম্বরে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকেই অ্যাঙ্কেলের চোটের কারণে কোনো ধরনের ক্রিকেটে মাঠে নামতে পারেননি শামি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চক্রে কোনো ম্যাচই খেলা হয়নি তার। সবশেষ টেস্ট খেলেছেন তিনি গত জুনে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। তার অনুপস্থিতিতে গত কিছুদিনে অভিষেক হয়েছে দুই পেসার মুকেশ কুমার ও আকাশ দিপের।
গত বিশ্বকাপে শুরুর দিকে ভারতের একাদশে জায়গা না পেলেও পরে সুযোগ পেয়ে তিনি অসাধারণ বোলিং করেন। স্রেফ ৭ ম্যাচ খেলেই ২৪ উইকেট নিয়ে বিশ্ব আসরের সবচেয়ে বেশি উইকেট ছিল তারই। তবে অ্যাঙ্কেলের চোট তখনও তাকে ভোগাচ্ছিল। ইনজেকশন নিয়ে ম্যাচের পর ম্যাচ খেলছিলেন অভিজ্ঞ পেসার।
১৯ নভেম্বর বিশ্বকাপ ফাইনালের পর মাঠে না থাকলেও ইনজেকশন নিতে হচ্ছিল তাকে। ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে রাখা হয় তাকে। তবে গত ১৬ ডিসেম্বর বিসিসিআই জানায়, মেডিকেল টিমের ছাড়পত্র না পাওয়ায় সফর থেকে ছিটকে গেছেন শামি। তার চোট নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের একমাত্র বিবৃতি ছিল সেটিই।
জানুয়ারির শুরুর দিকে শামি জানান, তার অ্যাঙ্কেলে অস্বস্তি আছে এখনও। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলতে পারবেন বলেও আশাবাদী ছিলেন তিনি। কিন্তু ৬৪ টেস্টে ২২৯ উইকেট নেওয়া পেসারের সেই আশাও পূরণ হয়নি। এখন তো অস্ত্রোপচারই হলো।