দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩ উইকেটে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দল।
Published : 15 Mar 2024, 01:07 PM
বাংলাদেশ: ২৮৬/৭
শ্রীলঙ্কা: ৪৭.১ ওভারে ২৮৭/৭
প্রথম ম্যাচে দারুণ জয়ের পর এবার সিরিজ নিজেদের করে নেওয়ার হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডে শুরু দুপুর আড়াইটায়।
এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে সবশেষ সিরিজে ঘরের মাঠে প্রথম দুই ম্যাচ জিতেছিল তারা। প্রায় তিন বছর পর একই অবস্থায় দাঁড়িয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দল।
ওয়ানডেতে দেশের মাটিতে সবশেষ দুই সিরিজে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১১ সালের পর প্রথমবারের মতো দেশের মাটিতে টানা তিন সিরিজে হার এড়াতে জয় জরুরি মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহদের জন্য। আফগানিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হারার আগে গত বছরের মে মাসে সবশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।
আরও একবার টস জিতলেন কুসাল মেন্ডিস। তবে প্রথম ম্যাচের মতো ব্যাটিং না নিয়ে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক।
আগের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া সফরকারীদের পরে ভীষণ ভুগিয়েছিল শিশির। এর প্রভাব এড়াতেই এবার ফিল্ডিং নিলেন মেন্ডিস।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেটে ২৮০ থেকে ৩০০ রান করতে পারলে পরে বোলারদের জন্য কাজ সহজ হবে।
প্রথম ওয়ানডে জেতা একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনার নিয়েই নামছে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান।
ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে শ্রীলঙ্কা। মাহিশ থিকশানাকে বাদ দিয়ে সুযোগ দেওয়া হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার দুনিথ ওয়েলালাগেকে।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: কুসাল মেন্ডিস (অধিনায়ক), পাথুম নিসাঙ্কা, আভিশকা ফার্নান্দো, সাদিরা সামারাউইক্রামা, চারিথ আসালাঙ্কা, জানিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ওয়েলালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, প্রামোদ মাদুশান, লাহিরু কুমারা, দিলশান মাদুশানকা।
প্রথম ওয়ানডের মতো এবারও রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন লিটন কুমার দাস। তৃতীয় বলে দিলশান মাদুশানকার পায়ের ওপর করা ডেলিভারি ফ্লিক করার চেষ্টায় স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিলেন লিটন।
৯১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ১৪ বার শূন্য রানে আউট হলেন লিটন।
তিন নম্বরে নেমেছেন আগের ম্যাচের নায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ওভারে কোনো রান দেননি মাদুশানকা। ক্রিজে আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার।
লিটন কুমার দাসের মতো খালি হাতে ফিরতে পারতেন নাজমুল হোসেন শান্তও। প্রথম স্লিপে তার ক্যাচ ছাড়লেন পাথুম নিসাঙ্কা।
প্রামোদ মাদুশানের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করার চেষ্টায় শান্তর ব্যাটের বাইরের কানায় লাগে। সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি নিসাঙ্কা। উল্টো ৪ রান পেয়ে যান শান্ত। এক বল পর দারুণ অন ড্রাইভে লং অন দিয়ে বাউন্ডারি মারেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ওভারের পঞ্চম বলে আরও একবার বেঁচে যান তিনি। ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বল জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে। কিন্তু ফিল্ডারদের কেউই টের পাননি, আবেদনও করেননি। আম্পায়ারও কোনো সিদ্ধান্ত দেননি।
রিপ্লেতে দেখা যায়, আবেদন করলে বা রিভিউ নিলে শান্তর উইকেট পেত সফরকারীরা।
২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১১ রান। শান্ত ৮ বলে ১০ ও সৌম্য সরকার ১ বলে ১ রানে অপরাজিত।
নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরানোর চেষ্টায় এবার রিভিউ হারাল শ্রীলঙ্কা। প্রামোদ মাদুশানের লেংথ বল শান্তর প্যাডে লাগলে জোরাল আবেদন করে সফরকারীরা। তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন কুসাল মেন্ডিস।
রিপ্লেতে দেখা যায়, প্যাডে লাগার আগে শান্তর ব্যাটের ভেতরের কানা ছুঁয়ে গেছে বল। তাই বিপদ ঘটেনি ১১ রানে থাকা শান্তর। ওভারের শেষ দুই বলে বাউন্ডারি মেরে শ্রীলঙ্কার হতাশা বাড়ান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২২ রান। শান্ত ১৬ বলে ১৯ ও সৌম্য সরকার ৫ বলে ২ রানে খেলছেন।
শুরুতে উইকেটে হারালেও দলের ওপর পড়তে দেননি সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে অষ্টম ওভারেই পঞ্চাশ রান পূর্ণ করল বাংলাদেশ। একইসঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিরও পঞ্চাশ রান পূর্ণ হলো, ৪৩ বলে।
লিটন কুমার দাসের বিদায়ের পর শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন শান্ত। তবে ওই ধাপ পেরিয়ে আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও এগিয়ে যাচ্ছেন দারুণ ছন্দে।
৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫০ রান। শান্ত ২৩ বলে ২৭ ও সৌম্য ২২ বলে ২০ রানে অপরাজিত।
নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকারের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে স্বাগতিকরা করেছে ১ উইকেটে ৬৪ রান।
৬ চারে ৩১ বলে ৩৪ রানে খেলছেন শান্ত। সৌম্য সরকার ৫ চারে ২৬ বলে করেছেন ২৭ রান।
দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরেই জুটি ভাঙলেন দিলশান মাদুশানকা। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা ডেলিভারিতে ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে কট বিহাইন্ড হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
৬ চারে ৩৯ বলে ৪০ রান করে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার বিদায়ে ভাঙল সৌম্য সরকারের সঙ্গে গড়া ৭৫ রানের জুটি।
ওভারের প্রথম বলটি 'নো' করেন মাদুশানকা। ফ্রি হিট বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন সৌম্য। তবে আউট হননি তিনি। পরের বলে ঠিকই উইকেট তুলে নেন লঙ্কান বাঁহাতি পেসার।
চার নম্বরে নেমেছেন তাওহিদ হৃদয়। ৩৩ বলে ৩১ রানে খেলছেন সৌম্য।
অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন তাওহিদ হৃদয়। দিলশান মাদুশানকার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল থার্ড ম্যান দিয়ে খেলার চেষ্টা করেন তরুণ ব্যাটসম্যান। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে যাওয়া বল ডান দিকে ঝাঁপিয়ে নাগাল পেলেও গ্লাভসে জমাতে পারেননি কুসাল মেন্ডিস।
তখন ৬ রানে ছিলেন হৃদয়।
১৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯৩ রান। সৌম্য সরকার ৪১ বলে ৪১ ও হৃদয় ৮ বলে ৭ রানে খেলছেন।
অধিনায়কের বিদায়ের পর দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন সৌম্য সরকার। শুরুতে জীবন পাওয়া তাওহিদ হৃদয়ও গুছিয়ে নিচ্ছেন নিজেকে। এরই মধ্যে ১৭ ওভারে একশ রান পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ।
পঞ্চাশ রান করতে ৪৪ বল লেগেছিল স্বাগতিকদের। পরের পঞ্চাশ করতে তারা খেলেছে ৫৪ বল। দুই বারেই পড়েছে ১টি করে উইকেট।
১৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৩ রান। ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৫০ বলে ৪৭ রানে খেলছেন সৌম্য। হৃদয় করেছেন ১১ বলে ১১ রান।
প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা ঝেরে ঝলমলে ব্যাটিংয়ে ফিফটি করলেন সৌম্য সরকার। ৯ চারে ৫২ বলে মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সৌম্যর দ্বিতীয় ফিফটি এটি। সব মিলিয়ে দ্বাদশ।
১৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১০ রান। সৌম্য ৫২ বলে ৫২ ও তাওহিদ হৃদয় ১৫ বলে ১৩ রানে খেলছেন।
জুটি বেধে বাংলাদেশকে শক্ত ভিত গড়ে দিচ্ছেন সৌম্য সরকার ও তাওহিদ হৃদয়। এরই মধ্যে দুজন মিলে যোগ করেছেন ৫০ রান, ৫০ বলে।
২১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৩০ রান। সৌম্য ৬৪ বলে ৬৮ ও হৃদয় ২১ বলে ১৭ রানে খেলছেন।
ফিফটি ছোঁয়ার পর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে বাউন্ডারি মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২ হাজার রান পূর্ণ করলেন সৌম্য সরকার। মাইলফলক থেকে ৫৬ রান দূরে থাকা অবস্থায় ম্যাচটি শুরু করেন তিনি।
৬৪ ইনিংসে এই ক্লাবে প্রবেশ করলেন বাঁহাতি ওপেনার। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান এত কম ইনিংসে ২ হাজার রান করতে পারেননি। শাহরিয়ার নাফীস ও লিটন কুমার দাস এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ৬৫ ইনিংসে।
মাইলফলক ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না সৌম্য সরকার। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে রিভার্স সুইপ করে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিলেন বাঁহাতি ওপেনার। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন দিলশান মাদুশানকা।
১১ চার ও ১ ছক্কায় ৬৬ বলে ৬৮ রান করেছেন সৌম্য।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার এক ওভারে জোড়া ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারের পর রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন মাহমুদউল্লাহ।
গুগলিতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারেননি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। স্টাম্প ভাঙতে কোনো ভুল করেননি কুসাল মেন্ডিস।
২২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩০ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তাওহিদ হৃদয় ২১ বলে ১৭ রানে অপরাজিত।
দ্রুত ২ উইকেট পড়ার পর কমে এসেছে রানের গতি। তা বাড়ানোর তাগিদেই হয়তো দুনিথ ওয়েলালাগের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারলেন মুশফিকুর রহিম। তবে সেটি গেল সোজা শর্ট কভারে থাকা ফিল্ডার বরাবর।
তবে শটে জোর খুব বেশি থাকায় তালুবন্দি করতে পারেননি সাদিরা সামারাউইক্রামা। ৮ রানে বেঁচে যান মুশফিক।
২৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৫১ রান। মুশফিক ১৫ বলে ৯ ও তাওহিদ হৃদয় ৪৪ বলে ২৯ রানে খেলছেন।
তাওহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিমের জুটি বেশি বড় হতে দিলেন না ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ৮ রানে জীবন পাওয়া মুশফিক ড্রেসিং রুমে ফিরলেন ২৫ রান করে।
হাসারাঙ্গার ফুল লেংথ ডেলিভারি সুইপ খেলার চেষ্টায় ব্যর্থ হন মুশফিক। বল তার প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদন। তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন কুসাল মেন্ডিস।
রিপ্লেতে দেখা যায়, বল আঘাত করত মিডল স্টাম্পে। ফলে বদলে যায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ৪৩ রানে ভাঙে পঞ্চম উইকেট জুটি।
৩১.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭৩ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫০ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত হৃদয়।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার শর্ট ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে পরাস্ত মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ব্যাটের পাশ দিয়ে বল আঘাত করল স্টাম্পে। ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
১৮ বলে ১২ রান করে ফিরেছেন মিরাজ। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান তানজিম হাসান। ৬০ বলে ৩৮ রানে খেলছেন তাওহিদ হৃদয়।
৩৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৯ রান।
৭ ওভারে স্রেফ ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন হাসারাঙ্গা।
একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেছে বাংলাদেশ, কমে গেছে রানের গতি। দুইশ রান করতে স্বাগতিকদের লেগেছে ৩৯ ওভার।
দারুণ শুরুর পর ৯৯ বলে হয়েছিল ১০০ রান। পরের একশ করতে তারা খেলেছে ১৩৪ বল।
৩৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০১ রান। তাওহিদ হৃদয় ৬৮ বলে ৪৪ ও তানজিম হাসান ১১ বলে ৫ রানে খেলছেন।
একপ্রান্ত আগলে রেখে ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে পঞ্চাশ পূর্ণ করলেন তাওহিদ হৃদয়। ৭৪ বলে ২ চারে এই মাইফলক স্পর্শ করলেন তিনি।
২৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে হৃদয়ে সপ্তম পঞ্চশ ছোঁয়া ইনিংস এটি।
৪১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২১১ রান।
তাওহিদ হৃদয় ও তানজিম হাসানের ৪৭ রানের সপ্তম উইকেট জুটি ভাঙলেন প্রামোদ মাদুশান। লফটেড শট খেলার চেষ্টায় মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ৩৩ বলে ১৮ রান করা তানজিম।
৪৬.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৩৬ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ। ৮৯ বলে ৬৫ রানে খেলছেন হৃদয়।
শুরুতেই লিটন দাসের বিদায়ের পর দলকে এগিয়ে নিলেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি করলেন সৌম্য। পরে চার নম্বরে নেমে দায়িত্ব নিলেন তাওহিদ হৃদয়। তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে প্রত্যাশাফিক স্কোর পেল বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে ২৮৬ রান করেছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিং পাওয়ার পর ২৮০ থেকে ৩০০ রানের কথা বলেছিলেন স্বাগতিক অধিনায়ক শান্ত।
প্রথম ম্যাচের মতো এবারও শূন্য রানে আউট হন লিটন কুমার দাস। দ্বিতীয় উইকেটে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করেন শান্ত ও সৌম্য। সম্ভাবনা জাগিয়েও এদিন পঞ্চাশ করতে পারেননি শান্ত। ৪০ রানে থামেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
সৌম্য খেলেন ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৬৬ বলে ৬৮ রানের ইনিংস। পরে মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজরা হতাশ করলে আড়াইশ করা নিয়েই শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। তখন দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন হৃদয়।
৭৪ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর ঝড় তোলেন হৃদয়। ইনিংসের শেষ দুই বলে ছক্কা মারা তরুণ ব্যাটসম্যান শেষের ২৮ বলে করেন ৪৬ রান। শেষ পর্যন্ত ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ১০২ বলে ৯৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ছাড়িয়ে যান আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকে করা ৯২ রান।
২ চার ও ১ ছক্কায় ১০ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তাসকিন। অষ্টম উইকেটে স্রেফ ২৩ বলে ৫০ রান যোগ করেন হৃদয় ও তাসকিন।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৮৬/৭ (লিটন ০, সৌম্য ৬৮, শান্ত ৪৯, হৃদয় ৯৬*, মাহমুদউল্লাহ ০, মুশফিক ২৫, মিরাজ ১২, তানজিম ১৮, তাসকিন ১৮*; মাদুশানকা ৬.৪-১-৩০-২, মাদুশান ৯-০-৬৮-১, কুমারা ৮-০-৫০-০, লিয়ানাগে ৪.২-০-৩০-০, আসালাঙ্কা ২-০-১০-০, ওয়েলালাগে ১০-০-৪৭-০, হাসারাঙ্গা ১০-১-৪৫-৪)
শুরুতেই বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন শরিফুল ইসলাম। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরালেন আভিশকা ফার্নান্দোকে। রানের খাতা খোলার আগেই স্লিপে ক্যাচ দিলেন লঙ্কান ওপেনার।
তিন নম্বরে নেমেছেন কুসাল মেন্ডিস। ক্রিজে আরেক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা।
তানজিম হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করলেন কুসাল মেন্ডিস। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ উঠলেও সেটি নিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। রানের খাতা খোলার আগেই বেঁচে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক।
পরের দুই বলে বাউন্ডারি মেরে তানজিমের হতাশা বাড়ান পাথুম নিসাঙ্কা।
২ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৫ রান।
ষষ্ঠ ওভারে আক্রমণে এসেই কুসাল মেন্ডিসকে ফেরালেন তাসকিন আহমেদ। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে হালকা মুভমেন্টে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হলেন লঙ্কান অধিনায়ক।
৩ চারে ১৩ বলে ১৬ রান করে ফিরেছেন মেন্ডিস। চার নম্বরে নেমেছেন সাদিরা সামারাউইক্রামা।
৫.১ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪২ রান। ১৭ বলে ২৩ রানে খেলছেন পাথুম নিসাঙ্কা।
পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নিলো বাংলাদেশ। শরিফুলের ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হলেন সাদিরা সামারাউইক্রামা। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে গালিতে ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
৪ বলে ১ রান করে ফিরেছেন সামারাউইক্রামা। পঞ্চাশের আগে ৩ উইকেট নিয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।
৬.১ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৩ রান। পাথুম নিসাঙ্কা অপরাজিত ১৯ বলে ২৩ রানে। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান চারিথ আসালাঙ্কা।
তাসকিন আহমেদের বলে জীবন পেলে চারিথ আসালাঙ্কা। অফ স্টাম্পের বাইরের বল দূর থেকেই খেলেন আসালাঙ্কা। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে গালিতে যায় বল। বাম দিকে হাত বাড়িয়ে নাগাল পেলেও বেশ কঠিন ক্যাচটি নিতে পারেননি লিটন কুমার দাস।
৬ রানে বেঁচে যান আসালাঙ্কা।
প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। পাথুম নিসাঙ্কা ৩০ বলে ৩০ রানে খেলছেন। ১২ বলে ৭ রানে অপরাজিত আসালাঙ্কা।
তানজিম হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ঠিকঠাক খেলতে পারলেন না পাথুম নিসাঙ্কা। বল প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন শ্রীলঙ্কা ওপেনার।
রিপ্লেতে দেখা যায়, প্যাডে যাওয়ার আগে বেশ ভালোভাবেই ব্যাটে লেগেছে ওই বল। ফলে বদলে যায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। বেঁচে যান ৩৬ রানে থাকা নিসাঙ্কা।
পরের বলে তানজিমের ওয়াইড ডেলিভারি থামাতে গিয়ে হাতে ব্যথা পান মুশফিকুর রহিম। তার শুশ্রূষা করার ফাঁকে পানি বিরতি দেন আম্পায়াররা।
১৪.৪ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৪ রান। চারিথ আসালাঙ্কা ২৮ বলে ২৪ ও নিসাঙ্কা ৪২ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত।
মেহেদী হাসান মিরাজের হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি লং অন দিয়ে ছক্কা ওড়ালেন চারিথ আসালাঙ্কা। একইসঙ্গে একশ রানে পৌঁছে গেল শ্রীলঙ্কা।
১৮ ওভারে সফরকারীদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৪ রান। ৪৭ বলে পঞ্চাশ করা দলটি ৫৯ বলে করল পরের পঞ্চাশ রান।
আসালাঙ্কা ৩৬ বলে ৩৪ ও পাথুম নিসাঙ্কা ৫৪ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত। দুজনের জুটিতে এরই মধ্যে এসেছে ৬২ রান।
অন্য প্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়লেও দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন পাথুম নিসাঙ্কা। গোছানো ব্যাটিংয়ে এরই মধ্যে ফিফটি করেছেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার।
৫৮ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি করেছেন নিসাঙ্কা।
২০ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১৭ রান। চারিথ আসালাঙ্কা ৪৩ বলে ৪১ রানে খেলছেন।
চাপের মুখে ক্রিজে গিয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি করলেন চারিথ আসালাঙ্কা। তাইজুল ইসলামের বলে সুইপ শটে ছক্কা উড়িয়ে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৫০ বলে ৩টি করে চার-ছক্কা মারেন তিনি।
২২ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২৮ রান। পাথুম নিসাঙ্কা ৬৪ বলে ৫২ রানে অপরাজিত।
শুরুর চাপ সামলে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন পাথুম নিসাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কা। এরই মধ্যে দুজনের জুটিতে এসেছে একশ রান, ১১৪ বলে। দুজনই পেরিয়েছেন ব্যক্তিগত পঞ্চাশ রান।
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ছক্কা মেরে জুটির একশ রান পূর্ণ করেন আসালাঙ্কা।
২৬ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫০ রান। আসালাঙ্কা ৬১ বলে ৬৩ ও নিসাঙ্কা ৭৭ বলে ৬১ রানে অপরাজিত।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙার সুযোগ তৈরি করলেন শরিফুল ইসলাম। কিন্তু মিড অফে পাথুম নিসাঙ্কার ক্যাচ নিতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭৩ রানে বেঁচে গেলেন লঙ্কান ওপেনার।
এর আগে ৬ রানে জীবন পান চারিথ আসালাঙ্কা।
২৯ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৭ রান। আসালাঙ্কা ৬৭ বলে ৬৭ ও নিসাঙ্কা ৮৯ বলে ৭৪ রানে খেলছেন।
দারুণ জুটিতে প্রায় তিন যুগ আগের রেকর্ড নিজেদের করে নিলেন পাথুম নিসাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে এরই মধ্যে তারা যোগ করেছেন ১৪৩ রান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে এটিই শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ জুটি। ১৯৯০ রানে আরভিন্দ ডি সিলভা ও আর্জুনা রানাতুঙ্গা ১৩৯ রানের বন্ধন ছিল এত দিনের সর্বোচ্চ।
নতুন রেকর্ডগড়া জুটিতে ধীরে ধীরে জয়ের পথে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ৩০.১ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮৬ রান। বাকি ১৯.৫ ওভারে করতে হবে আর ১০১ রান।
নিসাঙ্কা ৯৪ বলে ৯৩ ও আসালাঙ্কা ৬৯ বলে ৬৭ রানে খেলছেন।
দারুণ ছন্দে থেকে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন পাথুম নিসাঙ্কা। প্রথম ওয়ানডেতে ভালো শুরুর পরও তিনি আউট হয়ে গেছেন ৩৬ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে আর ভুল করলেন না। চাপের মুখে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে করেছেন চমৎকার সেঞ্চুরি।
ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করার পথে ১০০ বলে ১১ চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা মেরেছেন লঙ্কান ওপেনার।
পাঁচ ম্যাচে তার তৃতীয় সেঞ্চুরি এটি। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরির পর শেষটিতেও তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই তার প্রথম সেঞ্চুরি।
চারিথ আসালাঙ্কা ও পাথুম নিসাঙ্কার ব্যাটে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এরই মধ্যে ৩২তম ওভারে দুইশ রান পূর্ণ করেছে তারা।
৩২ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১ উইকেটে ২০১ রান। বাকি ১৮ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন আর ৮৬ রান।
নিসাঙ্কা ১০১ বলে ১০১ ও আসালাঙ্কা ৭৩ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত।
মেহেদী হাসান মিরাজের হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি স্লগ সুইপ করলেন পাথুম নিসাঙ্কা। ব্যাটের ওপরের দিকে গেলে বল উঠে গেল আকাশে। ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ নিলেন লিটন কুমার দাস।
১৩ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৩ বলে ১১৪ রান করে ফিরলেন নিসাঙ্কা। তার বিদায়ে ভাঙল চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে গড়া ১৮৬ রানের জুটি।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান জানিথ লিয়ানাগে। ৮৯ বলে ৮৮ রানে খেলছেন আসালাঙ্কা।
৩৭ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৩০ রান। জয়ের জন্য ৭৮ বলে ৫৭ রান দরকার সফরকারীদের।
সম্ভাবনা জাগিয়েও সেঞ্চুরি করতে পারলেন না চারিথ আসালাঙ্কা। তাসকিন আহমেদের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
অফ স্টাম্পের পিচ করে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে ড্রাইভ করেন আসালাঙ্কা। ক্যাচ নিয়েই জোরাল আবেদন করেন মুশফিকুর রহিম। তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিতে একদমই সময় নষ্ট করেননি নাজমুল হোসেন শান্ত।
রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে গেছে বল। ফলে বদলে যায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ৯১ রানে ফেরেন আসালাঙ্কা। ৯৩ বলের ইনিংসে ৬টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মারেন তিনি।
নিসাঙ্কার পর আসালাঙ্কার বিদায়ে ম্যাচে কিছুটা হলেও সম্ভাবনা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ।
৩৮ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৩৫ রান। ৭২ বলে জয়ের জন্য ৫২ রান প্রয়োজন সফরকারীদের। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান জানিথ লিয়ানাগে ও দুনিথ ওয়েলালাগে।
ওয়ানডে অভিষেকের প্রায় এক দশক পর একশ উইকেট পূর্ণ করলেন তাসকিন আহমেদ। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে রবিন উথাপ্পাকে ফিরিয়ে যাত্রা শুরু করা পেসারের একশতম শিকার চারিথ আসালাঙ্কা।
৭২ ম্যাচের ৭০ ইনিংসে উইকেটের সেঞ্চুরি করলেন ২৮ বছর বয়সী পেসার।
বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না জানিথ লিয়ানাগে। নতুন স্পেলে বোলিংয়ে প্রথম বলেই আঘাত করলেন তানজিম হাসান।
মিডল স্টাম্পে পিচ করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি ব্যাটে খেলতে পারেননি লিয়ানাগে। বল প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি ১৬ বলে ৯ রান করা লিয়ানাগে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফের সম্ভাবনা জাগিয়েছে বাংলাদেশ।
৪১.১ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৫১ রান। ৫৩ বলে তাদের প্রয়োজন আরও ৩৬ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান দুনিথ ওয়েলালাগে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
শেষ দিকে এসে কিছুটা চাপ তৈরি করেছে বাংলাদেশ। টানা ৫২ বলে কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।
অবশ্য রানের চাহিদা বেশি না হওয়ায় কোনো ঝুঁকি না নিয়ে ধীরে ধীরে এগোনোর পথই হয়তো বেছে নিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুনিথ ওয়েলালাগে। এখন পর্যন্ত ২৩ বলে ১৪ রান যোগ করেছেন এই দুজন।
৪৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৬৫ রান। শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ২২ রান।
ছক্কা ও চারে দলকে জয়ের হাত ছোঁয়া দূরত্বে পৌঁছে দিয়ে ফিরলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। জয়ের জন্য ২ রান বাকি থাকতে তাইজুল ইসলামের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হলেন ১৬ বলে ২৫ রান হাসারাঙ্গা।
৪৭ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৮৫ রান। শেষ ৩ ওভারে তাদের প্রয়োজন আর ২ রান। ২৫ বলে ১৩ রানে অপরাজিত দুনিথ ওয়েলালাগে। নতুন ব্যাটসম্যান প্রামোদ মাদুশান।
তাওহিদ হৃদয়ের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে প্রত্যাশামাফিক পুঁজি পায় বাংলাদেশ। পরে বল হাতেও শুরুটা করে দারুণ। কিন্তু পাথুম নিসাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কার রেকর্ড জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতল শ্রীলঙ্কা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা। ২৮৭ রানের লক্ষ্য ১৭ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলল তারা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। চট্টগ্রামের মাঠেও সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড এটি।
তিন ম্যাচ সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে ১১৩ বলে ১১৪ রান করেছেন নিসাঙ্কা। আসালাঙ্কা খেলেছেন ৯৩ বলে ৯১ রানের ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে দুজন যোগ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ ১৮৫ রান।
অথচ দুজনই ফিরতে পারতেন অনেক আগেই। ৬ রানে আসালাঙ্কার ক্যাচ ছাড়েন লিটন কুমার দাস। ৭৩ রানে নিসাঙ্কার ক্যাচ নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। জীবন পেয়ে বাংলাদেশের হতাশা আরও বাড়ান দুই ব্যাটসম্যানই।
নিসাঙ্কাকে ফিরিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ জুটি ভাঙলে কিছুক্ষণ পর ফেরেন আসালাঙ্কাও। পরে জানিথ লিয়ানাগেও আউট হলে প্রচ্ছন্ন সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।
কিন্তু ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ১৬ বলে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে সহজেই বাকি কাজ সারে সফরকারীরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৮৬/৭ (লিটন ০, সৌম্য ৬৮, শান্ত ৪৯, হৃদয় ৯৬*, মাহমুদউল্লাহ ০, মুশফিক ২৫, মিরাজ ১২, তানজিম ১৮, তাসকিন ১৮*; মাদুশানকা ৬.৪-১-৩০-২, মাদুশান ৯-০-৬৮-১, কুমারা ৮-০-৫০-০, লিয়ানাগে ৪.২-০-৩০-০, আসালাঙ্কা ২-০-১০-০, ওয়েলালাগে ১০-০-৪৭-০, হাসারাঙ্গা ১০-১-৪৫-৪)
শ্রীলঙ্কা: ৪৭.১ ওভারে ২৮৭/৭ (নিসাঙ্কা ১১৪, আভিশকা ০, মেন্ডিস ১৬, সামারাউইক্রামা ১, আসালাঙ্কা ৯১, লিয়ানাগে ৯, ওয়েলালাগে ১৫*, হাসারাঙ্গা ২৫, মাদুশান ০*; শরিফুল ৯-০-৪৯-২, তানজিম ১০-০-৬৫-১, তাসকিন ৯-০-৪৯-২, মিরাজ ১০-০-৫৮-১, তাইজুল ৫-০-৪৩-১, সৌম্য ৪-০-২১-০, হৃদয় ০.১-০-২-০)