টানা দুই ম্যাচ জিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক লড়াইয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। আরেকটি জয়ে আয়ারল্যান্ডের পর কোনো দেশকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পাবে সাকিব আল হাসানের দল।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টি-টোয়েন্টির বিশ চ্যাম্পিয়নদের হোয়াইটওয়াশ করার অভিযানে নামবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু হবে বেলা তিনটায়।
প্রথম লক্ষ্য তো অবশ্যই জয়। পাশাপাশি বেঞ্চের শক্তিও পরীক্ষা করে নিতে চায় বাংলাদেশ। ম্যাচের আগের দিন নির্বাচক হাবিবুল বাশার দিলেন একাদশে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত।
“বেঞ্চটা দেখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি রিজার্ভ ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ না দেন, প্রস্তুত হওয়ার সুযোগটা না দেন, কখনও যদি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে মূল খেলোয়াড়রা ইনজুরিতে থাকে, তখন তো কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই (অন্য ক্রিকেটারদের) খেলতে হয়। সেই সুযোগটা দল নেবে কি না, সেই আলোচনা এখনও হয়নি। সেটা করতে পারে। সেটা করলে কোনো সমস্যা নেই।”
“তবে মনোযোগ থাকবে জেতার দিকে। অবশ্যই আমরা জিততে চাইব। সেটার মাধ্যমে আমরা যদি (একাদশে) দুই-একটা পরিবর্তন করতে পারি, সেটা দল চাইলে করতে পারে। একটা ভালো দিক আমার কাছে মনে হয়, আমাদের বেঞ্চটা এখন অনেক শক্ত। আমরা যদি কাউকে নিয়েও আসি, শুধু নিয়ে আসার জন্যই হবে না। আমার মনে হয়, যারা আছে এই স্কোয়াডে, সবাই একাদশে খেলার যোগ্যতা রাখে।”
সফরের শেষ ম্যাচে এসে প্রথম টস জিতলেন জস বাটলার। অনুমতিভাবে ইংল্যান্ড অধিনায়ক নিলেন ফিল্ডিং।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানান, টস জিতলে তিনিও ফিল্ডিং নিতেন।
স্বাগতিকরা আগের দুই ম্যাচ জিতেছিল পরে ব্যাট করে। এবার নিতে হবে, রান ডিফেন্ড করার চ্যালেঞ্জ।
বিপিএলে আলো ছড়িয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলো তানভির ইসলামের। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশের ৭৯তম ক্রিকেটার বাঁহাতি এই স্পিনার। এছাড়া একাদশে ফিরেছেন শামীম হোসেন।
দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন নাসুম আহমেদ ও আফিফ হোসেন।
বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, তানভির ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, রনি তালুকদার, তৌহিদ হৃদয়।
শেষ ম্যাচের একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি ইংল্যান্ড। খুব বেশি বিকল্প অবশ্য তাদের নেই-ও।
ইংল্যান্ড একাদশ: জস বাটলার (অধিনায়ক), মইন আলি, জফ্রা আর্চার, স্যাম কারান, বেন ডাকেট, ক্রিস জর্ডান, দাভিদ মালান, আদিল রশিদ, ফিল সল্ট, ক্রিস ওকস, রেহান আহমেদ।
এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ও বিশ্বের একাদশ ক্রিকেটার হিসেবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৪০০ ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করলেন সাকিব আল হাসান। এখন পর্যন্ত ব্যাট হাতে তার সংগ্রহ ৬ হাজার ৭১১ রান, বল হাতে শিকার ৪৪৫ উইকেট।
আগের বলে বাউন্ডারিতে মিস ফিল্ডিং করলেন ফিল্ডার, রনি তালুকদার পেয়ে গেলেন বাউন্ডারি। পরের বলে পেলেন আরও বড় উপহার! সহজ ক্যাচ ছেড়ে দিলেন রেহান আহমেদ।
জফ্রা আর্চারের গতিময় ডেলিভারি ঠিক মতো খেলতে পারেননি রনি। ক্যাচ উঠে যায় শর্ট থার্ডম্যানে। জায়গা থেকে নড়তেও হয়নি রেহানের। অনেক সময় পেয়েছিলেন, দুই হাতে নিয়েওছিলেন কিন্তু শেষ সময়ে তালগোল পাকিয়ে মুঠো থেকে ফস্কে যায় বল!
সে সময় ১৭ রানে ছিলেন রনি।
রনি ও লিটন দাসের ব্যাটে ভালো শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। ৬ ওভারে স্বাগতিকদের রান বিনা উইকেটে ৪৬।
১৬ বলে ১৯ রানে খেলছেন রনি। ২০ বলে লিটনের রান ২১। দুই ব্যাটসম্যানই মেরেছেন তিনটি করে চার।
বাজে সময় পেছনে ফেলার ইঙ্গিত দিচ্ছেন লিটন দাস। থিতু হয়ে গেছেন ক্রিজে। তার সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মাঝপথে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
১০ ওভারে স্বাগিতদের রান ১ উইকেটে ৭৭। ৩৪ বলে ছয় চারে ৪০ রানে খেলছেন লিটন। ৫ বলে শান্তর রান ৫।
ওয়ানডে সিরিজের পর প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতেও রান ছিল না লিটন দাসের ব্যাটে। শেষটায় এসে যেন নিজেকে কিছুটা খুঁজে পেলেন এই ওপেনার। করলেন ফিফটি, ৪১ বলে। একই সময়ে বাংলাদেশের রান স্পর্শ করল তিন অঙ্ক।
লিটনের ক্যারিয়ারের ধীরতম ফিফটি এটি। এর আগে ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৫ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিলেন তিনি।
এই সময়ে লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে আটটি চার।
আরেক প্রান্তে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মইন আলির পর ছক্কা মেরেছেন রেহান আহমেদকে।
১৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১০৮। ৪৩ বলে লিটনের রান ৫১। দুই ছক্কায় ১৪ বলে শান্তর রান ২৫।
ক্যারিয়ারের মন্থরতম ফিফটির পরেই হয়তো থেমে যেতে হতো লিটন দাসের। জফ্রা আর্চারের বলে বেন ডাকেটকে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেলেন তিনি!
সীমানায় সহজ ক্যাচ ছিল, অনেক সময় পেয়েছিলেন ডাকেট। তার আঙুল ছুঁয়ে মাটিতে পড়ে যায় বল। সে সময় ৫১ রানে ছিলেন লিটন।
ওভারের পঞ্চম বলে কিপারের মাথার উপর দিয়ে চার পেয়ে যান লিটন। পরের বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে ওড়ান ছক্কায়।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১২২। ১৬ বলে ২৬ রানে খেলছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪৭ বলে লিটনের রান ৬৪।
ক্রিস জর্ডানের প্রথম ৫ বল থেকে এসেছিল কেবল ৩ রান। ছক্কায় চাপটা সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু স্লোয়ার বলে টাইমিং করতে পারলেন না, দিলেন সহজ ক্যাচ।
ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ নিলেন ফিল সল্ট। ভাঙল ৫৮ বল স্থায়ী ৮৪ রানের জুটি।
৫৭ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় লিটন করেন ৭৩ রান।
১৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৩৯। ক্রিজে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী সাকিব আল হাসান।
ক্রিস জর্ডানের বল আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বল পিচ করেছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে।
সে সময়ে ৪০ রানে ছিলেন শান্ত।
১৯ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৫৪।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশ করতে পারল কেবল ২৭ রান। এই সময়ে বাউন্ডারি এলো কেবল একটি!
লিটন দাসের বিদায়ের পর শেষ ১৮ বলে সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত যোগ করতে পেরেছেন কেবল ১৯ রান।
ব্যবহৃত পিচে খেলা। উইকেটে বোলারদের জন্য কিছুটা সহায়তা ছিল, সেটা নিতে পারেনি ইংল্যান্ড। ফিল্ডিংও হয়নি ভালো, হাত থেকে ছুটেছে ক্যাচ। হাতছাড়া হয়েছে রান আউটের সুযোগ।
সেটা খুব ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন লিটন দাস। খেলেছেন ৭৩ রানের কার্যকর ইনিংস। সম্ভাবনা জাগালেও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি রনি তালুকদার।
আরেকটি কার্যকর ইনিংস খেলে নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৪৭ রানে।
২০ ওভারে ২ ওপেনারকে হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ১৫৮ রান। আরেকটু বড় লক্ষ্য হয়তো দেওয়া সম্ভব ছিল, কিন্তু শেষটায় প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৮/২ (লিটন ৭৩, রনি ২৪, শান্ত ৪৭*, সাকিব ৪*; কারান ৪-০-২৮-০, ওকস ১-০-১২-০, রশিদ ৪-০-২৩-১, আর্চার ৪-০-৩৩-০, রেহান ৩-০-২৬-০, মইন ১-০-১২-০, জর্ডান ৩-০-২১-১)
শুরুটা হয়েছিল বাজে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম বলেই হজম করেছিলেন বাউন্ডারি। তবে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নিলেন না বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম। তৃতীয় বলেই পেয়ে গেলেন উইকেটের দেখা।
স্পিন করে বেরিয়ে যাওয়া বল খেলার চেষ্টায় নাগালে পাননি ফিল সল্ট। ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় দ্রুত ফিরতে পারেননি। ওই টুকু সময়ই যথেষ্ট ছিল লিটন দাসের জন্য। বল গ্লাভসে নিয়েই বেলস ফেলে দেন তিনি।
সল্ট পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ।
১ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ৭।
তাসকিনের আহমেদের বলে ব্যাট স্পর্শ করেছে কি না নিশ্চিত ছিলেন না দাভিদ মালান। তবে জস বাটলারের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
আল্ট্রাএজে দেখা যায়, প্যাডে লাগার আগে ব্যাটের কানা ছুঁয়েছিল গিয়েছিল বল। বেঁচে যান মালান। সে সময় ৬ রানে ছিলেন তিনি।
২ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ১৩।
প্রথম ওভারেই মিলেছিল উইকেট। পাওয়ার প্লেতে সেটাই হয়ে থাকল একমাত্র সাফল্য। পরের ৫ ওভারে বেশ দ্রুত গতিতে রান তুললেন দাভিদ মালান ও জস বাটলার।
৬ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ৪৭। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে শেষ ১৪ ওভারে ১১২ রান চাই সফরকারীদের।
১২ বলে দুই চারে বাটলারের রান ১৫। ২৩ বলে এক ছক্কা ও তিন চারে ২৬ রানে খেলছেন মালান।
দ্রুত এগোনো দাভিদ মালানকে ফেরানোর একটা সুযোগ এসেছিল। হাসান মাহমুদের বলে কাভারে কঠিন ক্যাচ নিতে পারলেন না তৌহিদ হৃদয়।
ঝাঁপিয়ে দুই হাতে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ফিল্ডার। হাত ছোঁয়াতে পারলেও মুঠোয় জমাতে পারেননি তিনি। সে সময় ৪২ রানে ছিলেন মালান।
৯ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ৬৯। ৩৬ বলে ৪৪ রানে খেলছেন মালান। ১৭ বলে বাটলারের রান ১৯। এরই মধ্যে তারা ৫১ বলে গড়েছেন ৬৪ রানের জুটি।
দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করছেন দাভিদ মালান। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন জস বাটলার। তাদের ব্যাটে ইনিংসের মাঝপথে ভালো অবস্থায় আছে ইংল্যান্ড।
১০ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ৭২। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে শেষ ১০ ওভারে ৮৭ রান চাই সফরকারীদের।
৩৮ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় ৪৫ রানে খেলছেন মালান। ২১ বলে দুই চারে বাটলারের রান ২১। ৫৭ বলে তাদের জুটিতে এসেছে ৬৭ রান।
আগের ম্যাচে আলো ছড়ানো মেহেদী হাসান মিরাজ বল পেলেন দ্বাদশ ওভারে। প্রথম তিন বলে তাকে একটি করে চার ও ছক্কা মারলেন জস বাটলার।
ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি স্পর্শ করলেন দাভিদ মালান। ৪৩ বলে পঞ্চাশ করার পথে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান মেরেছেন দুটি ছক্কা ও ছয়টি চার।
১২ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ৯৫।
দ্রুত এগোনো জুটি ভাঙতে মরিয়া ছিলেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়ককে কাঙ্ক্ষিত উইকেট এনে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে আরও বেরিয়ে যাওয়া বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন মালান। বাড়তি বাউন্সের জন্য ঠিক মতো খেলতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। লাফিয়ে ক্যাচ গ্লাভসে নেন লিটন দাস। ভাঙে ৭৬ বল স্থায়ী ৯৫ রানের জুটি।
টি-টোয়েন্টিতে এটি মুস্তাফিজুর শততম উইকেট।
৪৭ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় মালান করেন ৫৩ রান।
পরের মিলে আরও বড় উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে যান জস বাটলার!
বেন ডাকেট কাভারে বল পাঠিয়েই রানের জন্য ছুটেন। সাড়া দেন অধিনায়ক। তাকে চমকে দিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন মিরাজ। ৩১ বলে এক ছক্কা ও চারটি চারে বাটলার করেন ৪০ রান।
১৪ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ৩ উইকেটে ১০২। জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে ৫৭ রান চাই সফরকারীদের। ক্রিজে ডাকেটের সঙ্গী মইন আলি।
ইংল্যান্ডের বিপদ বাড়তে পারতো আরও। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বেন ডাকেটের কঠিন ক্যাচ নিতে পারলেন না লিটন দাস।
একটু বাড়তি বাউন্স করা বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি ডাকেট। বল আঘাত হানে কিপার লিটনের বুকে!
সে সময় ১ রানে ছিলেন ডাকেট।
১৫ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ৩ উইকেটে ১০৮।
ওভার প্রতি প্রয়োজন ১০ এর বেশি রান। তাই ঝুঁকি নিতেই হতো। সেটাই কাল হলো মইন আলির। ছক্কার চেষ্টায় ধরা পরলেন সীমানায়।
তাসকিন আহমেদেরে শর্ট বলে পুল করেছিলেন মইন। টাইমিং করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
১০ বলে এক ছক্কায় মইন করেন ৯ রান।
ওভারের শেষ বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে বেন ডাকেটের অফ স্টাম্প উপড়ে ফেলেন তাসকিন। উচ্চতার জন্য ওয়াইড না হলে আগেই ওভার শেষ হয়ে যেতে।
একটি বাড়তি বল পেয়ে বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলেন ডাকেট। কিন্তু গতিময় ডেলিভারির লাইনে যেতে পারেননি, আঘাতহানে স্টাম্পে।
১১ বলে দুই চারে ডাকেট করেন ১১ রান।
১৭ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ৫ উইকেটে ১২৩। ক্রিজে স্যাম কারানের সঙ্গী ক্রিস ওকস।
ওভার প্রতি প্রয়োজন ১৫ রানের বেশি। বাউন্ডারি তো লাগবেই। সেই চেষ্টাতেই আউট হলেন স্যাম কারান।
সাকিব আল হাসানের বাঁহাতি স্পিন ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। টাইমিং করতে পারেননি, পয়েন্টে সহজ ক্যাচ নেন তানভির ইসলাম।
৬ বলে কারান করেন ৪।
১৯ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ৬ উইকেটে ১৩২। জয়ের জন্য শেষ ওভারে সফরকারীদের চাই ২৭ রান।