হেইজেলউড মনেপ্রাণে চান, বাদ পড়ুক ইংল্যান্ড

তবে, এমন কোনো পরিস্থিতি যদি উদয় হয় যে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দেওয়া সম্ভব, সেক্ষেত্রে কি অস্ট্রেলিয়া সেই পথে হাঁটবে?-এখানে হেইজেলউড পরিষ্কার করে বলেননি কিছু।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরের ধাপে উঠতে নিজেদের বাকি সব ম্যাচ জিততেই হবে ইংল্যান্ডকে, সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে অন্য দলগুলোর দিকেও। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের এমন দুর্দশা বেশ উপভোগ করছেন অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ পেসার জশ হেইজেলউড। কোনোরকম রাখঢাক না করে তিনি বলেও দিলেন, গ্রুপ পর্ব থেকে ইংল্যান্ড বাদ পড়লে খুশিই হবেন তারা।

অ্যান্টিগায় বুধবার নামিবিয়াকে গুঁড়িয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচের সবকটি জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে শীর্ষে। এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের ধাপে যাওয়ার লড়াইয়ে আছে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ড।

বৃষ্টির কারণে ভেসে যায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ইংলিশদের লড়াই। পরের ম্যাচে শিরোপাধারীরা হেরে যায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে চতুর্থ স্থানে থাকা ইংলিশদের সুপার এইটে খেলার সম্ভাবনা ঝুলছে অনিশ্চয়তার সুতোয়।

গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের শেষ দুই ম্যাচ ওমান ও নামিবিয়ার বিপক্ষে। আগামী শুক্র ও শনিবারের লড়াই দুটিতে জয়ের বিকল্প নেই ইংলিশদের; কোনো ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেই শেষ হয়ে যাবে তাদের আশা। আবার কেবল জিতলেই হবে না, বাড়িয়ে নিতে হবে রান রেটও। দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রান রেট এখন -১.৮০০।

ইংল্যান্ড ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার পর নামিবিয়া ও ওমানকে হারিয়ে তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটে খেলার স্বপ্ন দেখছে স্কটল্যান্ড। তাদের রান রেটও বেশ ভালো, ২.১৬৪। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হারলেও পরের ধাপে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা থাকবে দলটির।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ‘বি’ গ্রুপের সবশেষ ম্যাচটি খেলবে তারা আগামী রোববার। ততদিনে পরিষ্কার হয়ে যাবে, সুপার এইটে যেতে কী করতে হবে স্কটল্যান্ডকে। ইংল্যান্ডের জন্য পরিস্থিতি যতটা সম্ভব কঠিন করে তোলার চেষ্টা কি করবে অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর এমন প্রশ্নের উত্তরে হেইজেলউড বলেন, “হ্যাঁ, আমার তাই মনে হয়।”

“এই টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো না কোনো পর্যায়ে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং... তারা সম্ভবত নিজেদের দিনে শীর্ষ কয়েকটি দলের একটি। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাদের বিপক্ষে পূর্বে আমাদের বেশ কয়েকবার ভুগতে হয়েছে। তাই, আমরা যদি তাদের টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিতে পারি, যা আমাদের ও সম্ভবত অন্যদের জন্যও সবচেয়ে ভালো হবে।”

পরক্ষণেই আবার হেইজেলউড জোর দিয়ে বলেন, নিজেদের চাওয়া যেমনই হোক, মাঠে নেমে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলবেন তারা।

“বিষয়টা বেশ মজার হবে। দল হিসেবে আমরা এর আগে কখনো এমন অবস্থানে ছিলাম না, আমার মনে হয় না, তাই আমাদের আলোচনা হোক বা না হোক, আমরা আজ রাতে যেভাবে খেলেছি সেভাবেই আবার খেলার চেষ্টা করব। এটা অন্যদের ব্যাপার, আমার নয়।”

তারপরও, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে এমন কোনো পরিস্থিতি যদি চলেই আসে যে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দেওয়া সম্ভব, সেক্ষেত্রে কি অস্ট্রেলিয়া সেই পথে হাঁটবে?-এখানেও হেইডেলউড পরিষ্কার করে বলেননি কিছু।

“বেশ কিছু সম্ভাবনা থাকছে। কিন্তু ম্যাচ জয় এবং সেটাও ভালোভাবে জিতে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠাটা আমার মতে অন্য কাউকে বিদায় করে দেওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইটে যাওয়ার সুযোগ নেই নামিবিয়ার। তিন ম্যাচে একটি জিতে ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে তারা।