ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের কিছু ম্যাচের চাপ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চেয়েও বেশি বললেন তাওহিদ হৃদয়।
Published : 12 Apr 2025, 08:53 PM
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আগের মতো উত্তাপ আর নেই। গ্যালারিতে দর্শকের উন্মাদনা এখন সুদূর অতীত। তবু চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল আবাহনী ও মোহামেডানের লড়াইয়ের উত্তেজনা ঠিকই টের পান ক্রিকেটাররা। তাওহিদ হৃদয় বললেন, অনেকের মাঝে আন্তর্জাতিক ম্যাচের চেয়েও বেশি চেষ্টা দেখেন তিনি।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার প্রায় ৯ বছরের অপেক্ষা অবসান ঘটায় হৃদয়ের নেতৃত্বাধীন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আবাহনী লিমিটেডকে ৩৯ রানে হারায় শিরোপাপ্রত্যাশী দলটি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ২০১৬ সালের পর আবাহনীর বিপক্ষে এটিই তাদের প্রথম জয়।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আনিসুল ইসলামের সেঞ্চুরিতে ২৬৪ রানের পুঁজি পায় হৃদয়ের নেতৃত্বাধীন দল। পরে নাজমুল হোসেন শান্ত ৮০ রানের ইনিংস খেললেও ২২৫ রানের বেশি করতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতলেও সীমানায় ফিল্ডিংয়ে বেশ কিছু ভুল করেন মোহামেডানের ক্রিকেটাররা।
তবে সার্বিকভাবে দুই দলের ক্রিকেটারদের চেষ্টায় মুগ্ধ হৃদয়। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দলের লড়াইয়ের উত্তেজনাটা মনে করিয়ে দেন তিনি।
“চাপ সবসময়ই থাকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও চাপ থাকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বিশেষ করে প্রিমিয়ার লিগে কিছু কিছু ম্যাচে আন্তর্জাতিকের চেয়েও বেশি চাপ অনুভব করি। যেহেতু এখানে একটা ঐতিহ্য আছে। অফিসিয়ালদের চাপ... ইগোর একটা বিষয় আছে, সম্মানেরও অনেক কিছু।”
“এই জায়গায় আবাহনী-মোহামেডান অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। আমার মনে হয় যে আজকে অনেক ক্রিকেটার আন্তর্জাতিকেও এমন এফোর্ট দেয়নি, যেটা আজকে দিয়েছে (হাসি)। অবশ্যই উপভোগ করেছি। এরকম ম্যাচ যত আমরা খেলতে পারব, তত নিজেদের উন্নতি করতে পারব।”
লিগের প্রথম ৯ ম্যাচ বাইরে বসে কাটান আনিসুল। দশম রাউন্ডে সুযোগ পেলেও রান আউট হন মাত্র ২ রান করে। তবে প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে আবাহনীর মতো ঐতিহ্যবাহী দলের বিপক্ষেই তিনি খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
১১৮ বলে ১৮ চার ও ২ ছক্কায় ১১৪ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতার পর অধিনায়কের প্রশংসায়ও ভাসেন ২৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
“বড় একটা ম্যাচ ছিল। ছোট থেকে আমরা শুনে এসেছি এই ম্যাচ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। আমরা নিজেদের দিকে মনোযোগ দিয়েছি। আমাদের (আনিসুল) ইমনকে কৃতিত্ব দিতে হয়। ও যেভাবে খেলাটা শুরু করেছে, অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। আমরা সবসময় দাপুটে অবস্থায় ছিলাম ওর ব্যাটিংটা নিয়ে।”
“তারপরও ব্যাটিং এত সহজ ছিল না। এক-দুইজন ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান এখানে খুব ভালোভাবে খেলতে পারেনি। একটু ট্রিকি উইকেট ছিল। নরমালি মিরপুরে যা হয়ে থাকে। আমাদের সবসময় আত্মবিশ্বাস ছিল যে ২৫০ রান এই উইকেটের জন্য যথেষ্ট।”