ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকারি পেসার এখন ওমানের বিলাল খান।
Published : 25 Jul 2024, 08:59 AM
বিশ্ব ক্রিকেটে এমন কোনো বড় নাম নন বিলাল খান। ওমানের একজন পেসারের পরিচিতিই আর কতটুকু! তবে সেই বিলালই গড়লেন ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে অনন্য এক কীর্তি। তিনিই প্রথম পেসার, এই সংস্করণে ১০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন যিনি ৫০ ম্যাচ না খেলেই।
ওয়ানডেতে দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকারি পেসার এখন বিলাল। নামিবিয়ার বিপক্ষে বুধবার তিন উইকেট নেওয়ার পথে এই অর্জন ধরা দেয় ৩৭ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসারের।
এখানে তিনি পেছনে ফেলেন শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। ১০০ উইকেট ছুঁতে পাকিস্তানের বাঁহাতি ফাস্ট বোলারের লেগেছিল ৫১ ম্যাচ। বিলাল উইকেটের সেঞ্চুরি করলেন ৪৯ ম্যাচ খেলে। আরেক বাঁহাতি পেসার অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ১০০ ছুঁয়েছিলেন ৫২ ম্যাচ খেলে।
পেস-স্পিন মিলিয়ে বিলাল অবশ্য তৃতীয় দ্রুততম একশ উইকেট শিকারি। ৪২ ম্যাচে ১০০ ছুঁয়ে গত বছর বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন নেপালের লেগ স্পিনার সান্দিপ লামিছানে। ৪৪ ম্যাচে এই মাইলফলক ছুঁয়ে রেকর্ডের দুইয়ে আছেন আফগান লেগ স্পিনার রাশিদ খান।
অভিজাত এই কাতারেই এবার উঠে এলেন বিলাল। স্কটল্যান্ডের ডান্ডিতে আইসিসি মেন’স ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ ২-এর এই ম্যাচটি শুরু করেন তিনি ৯৮ উইকেট নিয়ে। নামিবিয়ার অধিনায়ক গেরহার্ড ইরাসমাসকে ফিরিয়ে আরেক ধাপ এগিয়ে যান তিনি। পরের ওভারেই ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ককে এলবিডব্লিউ করে দেখা পান শততম উইকেটের।
পরে আরও একটি উইকেট নিয়ে এ দিন ওমানের সফলতম বোলার বিলালই। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে নামিবিয়া। রান তাড়ায় ওমান চার উইকেটের জয় পায় পাঁচ বল বাকি থাকতে।
পাকিস্তানের পেশাওয়ারের সন্তান বিলাল সেখানকার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন অনেক দিন। পেশাওয়ারের হয়েই তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ২০০৭ সালে। পরে ক্রিকেটে সুবিধা করতে না পেরে জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমান ওমানে। সেখানে কাজের পাশাপাশি আবার ক্রিকেট শুরু করেন। একটা সময় ওমানের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন।
হংকংয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ২০১৫ সালে। নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে পা রাখেন ২০১৯ সালে। এবার সেই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নাম লেখালেন রেকর্ডে।
৪৯ ম্যাচে এখন ১০১ উইকেট বিলালের। ম্যাচে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন চার বার, আরও চারবার নিয়েছেন ম্যাচে চার উইকেট।
ওয়ানডেতে তার বোলিং গড় ২০.৯৭। অন্তত ১০০ উইকেট পাওয়া পেসারদের মধ্যে তার চেয়ে ভালো বোলিং গড় আছে কেবল আর তিন জনের, ক্যারিবিয়ান গ্রেট জোয়েল গার্নার (১৮.৮৪), অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ডেনিস লিলি (২০.৮২) এবং নিউ জিল্যান্ডের সাবেক গতি তারকা শেন বন্ড (২০.৮৮)।
ওয়ানডের পাশপাশি তার টি-টোয়েন্টি রেকর্ডও দারুণ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭৯ ম্যাচে ১১০ উইকেট আছে তার, ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৬.৭৮।
গত বিপিএলে তিনি খেলেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে। ১৩ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার ছিলেন তিনিই।