পাকিস্তান ক্রিকেট
২০২১ সালে চালু হওয়া পিসিবির হল অব ফেমে এনিয়ে সদস্য সংখ্যা হলো ১৪ জন।
Published : 10 Jan 2025, 06:44 PM
দারুণ এক সম্মাননা পেয়েছেন ইনজামাম-উক-হাক, মিসবাহ-উল-হাক, মুশতাক মোহাম্মাদ ও সাইদ আনোয়ার। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ‘হল অব ফেমে’ জায়গা দেওয়া হয়েছে দেশটির সাবেক এই চার ক্রিকেটারকে।
২০২১ সালে চালু হওয়া এই হল অব ফেমে এনিয়ে সদস্য সংখ্যা হলো ১৪ জন। হল অব ফেমের বিদ্যমান সদস্য, সাবেক খেলোয়াড় ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ে ১১ জনের একটি স্বতন্ত্ প্যানেলের ভোটে এই ক্লাবে জায়গা পান নতুন চারজন।
পিসিবি শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে নতুন সদস্যদের নাম প্রকাশ করে। ইনজামাম, মিসবাহদের অভিনন্দন জানান পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।
“পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আমি এই চার কিংবদন্তিকে পিসিবির হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। পাকিস্তান ক্রিকেট ও বৈশ্বিক খেলাটিতে তাদের অসামান্য অবদানের জন্য এই শ্রদ্ধা নিবেদন।”
পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ইনজামাম। দেশের হয়ে ১২০ টেস্ট, ৩৭৮ ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলেন তারকা এই ব্যাটসম্যান। টেস্টে তার ৮ হাজার ৮৩০ রান পাকিস্তানের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
ওয়ানডেতে ১০ হাজার রান করা একমাত্র পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান তিনি। এই সংস্করণে তার রান ১১ হাজার ৭৩৯।
নিজের সময়ের সেরা ওপেনারদের একজন ছিলেন সাইদ আনোয়ার। পাকিস্তানের হয়ে ৫৫ টেস্টে চার হাজার ৫২ রান করেন তিনি। ২৪৭ ওয়ানডেতে তার রান আট হাজার ৮২৪। ভারতের বিপক্ষে ১৯৯৭ সালে তার খেলা ১৯৪ রানের ইনিংস তখন ছিল ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ।
পাকিস্তানের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ। ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের পর দলটির নেতৃত্ব নেন তিনি। তার অধিনায়কত্বে ২০১৬ সালে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে ওঠে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের জার্সিতে ৭৫ টেস্ট খেলে পাঁচ হাজার ২২২ রান করেন মিসবাহ। ১৬২ ওয়ানডেতে তার রান পাঁচ হাজার ১২২। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি ৩৯টি, রান ৭৮৮। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে পাকিস্তান জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বও পালন করেন সাবেক মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
১৯৫৯ সালে ১৫ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় মুশতাকের। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। ১৭ বছর বয়সে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন।
৫৭ টেস্টে তার রান তিন হাজার ৬৪৩ ও ১০ ওয়ানডেতে করেন ২০৯ রান। লেগ স্পিনে টেস্টে ৭৯ উইকেট নেন তিনি। তার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট জিতেছিল পাকিস্তান।