কর্নেল সিকে নাইডু ট্রফিতে সর্বোচ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড গড়েছেন ওপেনার ইয়াশভার্ধান দালাল।
Published : 09 Nov 2024, 11:13 PM
ম্যাচের দুই দিন পেরিয়ে গেছে। প্রথম দিন ব্যাটিংয়ে নেমে এখনও অপরাজিত আছেন ইয়াশভার্ধান দালাল। এর মধ্যেই তিনি ছাড়িয়ে গেছেন চারশ রানের সীমানা। ভারতের বয়সভিত্তিক চার দিনের ম্যাচের প্রতিযোগিতা কর্নেল সিকে নাইডু ট্রফিতে কোয়াড্রপল সেঞ্চুরি করে আলোচনায় উঠে এসেছেন এই ওপেনার।
অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় হরিয়ানার হয়ে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে শনিবার দ্বিতীয় দিন শেষে ৪২৬ রানে অপরাজিত আছেন দালাল। ৪৬৩ বলের ম্যারাথন ইনিংসটি গড়া ৪৬টি চার ও ১২টি ছক্কায়।
এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত এবং প্রথম চারশ রানের ইনিংস এটিই। গত মৌসুমে উত্তর প্রদেশের হয়ে সামির রিজভির ৩১২ রান ছিল আগের সর্বোচ্চ।
তৃতীয় দিনে পাঁচশ করার হাতছানিও আছে দালালের সামনে। দ্বিতীয় দিন শেষে হরিয়ানার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৭৩২ রান।
সুলতানপুরের উরুগ্রাম ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আরশ রাঙ্গার সঙ্গে ৪১০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দালাল। রাঙ্গা ১৫১ রান করে ফিরে যান ইনিংসের ৯৮তম ওভারে। ততক্ষণে দালালের রান ২৪৩। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে পরে তিনি ছাড়িয়ে যান তিনশ ও চারশর সীমানা।
ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা হরিয়ানার ঝাজ্জার জেলায়। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অফ স্পিন বোলিংও করেন তিনি।
বড় ইনিংস খেলেছেন তিনি আগেও। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অনূর্ধ্ব-১৬ লিগ ম্যাচে হরিয়ানা ক্রিকেট একাডেমির হয়ে করেছিলেন ২৩৭ রান। ৪০ ওভারে ৫ উইকেটে ৪৫২ রান করে তার দল ম্যাচটি জিতেছিল ৩৬৮ রানে।
এবার বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে আরও বড় ইনিংস খেললেন তিনি।
ভারতের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক সিকে নাইডুর নামে বিভিন্ন রাজ্য ও আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অংশগ্রহণে ১৯৭৩-৭৪ মৌসুম থেকে হয়ে আসছে এই প্রতিযোগিতা। ৩৮ দলের এই প্রতিযোগিতা কখনও হয়েছে অনূর্ধ্ব ২২, অনূর্ধ্ব-২৩, আবার কখনও অনূর্ধ্ব-২৫ পর্যায়ে। গত দুই মৌসুমে ছিল অনূর্ধ্ব-২৫, এই বছর সেটা অনূর্ধ্ব-২৩।