জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডে পেসার রেজাউর রহমান রাজার ব্যাটে জিতল সিলেট, বাঁহাতি স্পিনে রাজশাহীকে দারুণ জয় এনে দিলেন সানজামুল ইসলাম।
Published : 05 Nov 2024, 04:00 PM
মূল ব্যাটসম্যানদের উইকেট বাঁচাতে ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে নেমেছিলেন রেজাউর রহমান রাজা। পরদিন সকালে তিনিই যেন হয়ে গেলেন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান। মূল পরিচয় বোলার হলেও ব্যাট হাতে সিলেটকে এনে দিলেন দারুণ এক জয়।
জাতীয় ক্রিকেট লিগে তৃতীয় রাউন্ডের আরেক ম্যাচে বরিশালকে অল্পে গুটিয়ে রাজশাহীকে জিতিয়েছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম।
রাজার ফিফটিতে শীর্ষে সিলেট
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুরকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট। ১৯০ রানের লক্ষ্য ছুঁতে তারা খেলেছে ৬৫ ওভার। শেষ দিন বাকি থাকা ১৩৯ রান দুই সেশনের কম সময়েই করে ফেলেছে সিলেট।
তিন ম্যাচে দুই জয়, এক ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে সিলেট। দলকে এক নম্বরে তোলার ম্যাচে ব্যাট হাতে ৫৯ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেছেন রাজা। স্বীকৃত ক্রিকেটে এটিই তার প্রথম ফিফটি।
এছাড়া বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছেন ২৫ বছর বয়সী পেসার।
পিনাক ঘোষের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫৬ রান যোগ করেন রাজা। দলকে একশ পার করিয়ে ফেরেন ৪২ রান করা পিনাক। এরপর অমিতের সঙ্গে রাজার জুটিতে আসে ৫০ রান।
পরপর দুই ওভারে রাজা, মুবিন আহমেদ ও রাহাতুল ফেরদৌসকে ফিরিয়ে রংপুরকে কিছুটা আশা দেখান মুকিদুল ইসলাম। তবে তা দীর্ঘায়িত হয়নি। আসাদুল্লা আল গালিবকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন অধিনায়ক অমিত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর ১ম ইনিংস: ১৫৮
সিলেট ১ম ইনিংস: ১৮৯
রংপুর ২য় ইনিংস: ২২০
সিলেট ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ১৯০) ৬৫ ওভারে ১৯২/৬ (আগের দিন ৫১/২) (পিনাক ৪২, রাজা ৫৯, অমিত ৩৭*, মুবিন ০, রাহাতুল ০, আসাদুল্লা আল গালিব ২৩*; মুকিদুল ১৬.১-৪-৫৫-৩, রবিউল ১৫-৩-৪১-১, আসাদুল্লাহ হিল গালিব ৩.৫-০-১১-০, হাশিম ১৮-৬-৩৪-১, রিজওয়ান ৩-০-১২-০, নাঈম ৬-১-৯-১, তানবীর ২-০-১৩-০, খালিদ ১-০-৪-০)
ফল: সিলেট ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: রেজাউর রহমান রাজা
সানজামুলের স্পিনে কুপোকাত বরিশাল
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন পরিত্যক্ত হওয়ার পরও ম্যাচে ফল বের করে নিল রাজশাহী। সানজামুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে তারা ৬ উইকেটে হারাল বরিশালকে।
ম্যাচের তিন দিন মিলিয়ে শেষ হয়েছিল দুই দলের প্রথম ইনিংস। শেষ দিন বরিশালকে ১৩৭ রানে গুটিয়ে দেয় রাজশাহী। পরে ৬৮ রানের লক্ষ্য ১৫ ওভারে ছুঁয়ে ফেলে তারা।
৭০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াই করতেই পারেনি বরিশাল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন তাসামুল হক। এছাড়া শেষ দিকে তানভির ইসলাম ২১ ও মইনুল ইসলাম ১৪ রানের ইনিংস খেললে একশ পার করতে পারে তারা।
বাঁহাতি স্পিনে ৪০ রানে ৬ উইকেট নেন সানজামুল।
ছোট লক্ষ্যে চার ওভারের মধ্যে টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট হারায় রাজশাহী। তবে একপ্রান্ত ধরে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন পাঁচ নম্বরে নামা এসএম মেহেরব হাসান।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা সানজামুল।
তিন ম্যাচে একটি করে জয়, পরাজয় ও ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত চার নম্বরে রাজশাহী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে)
বরিশাল ১ম ইনিংস: ২০৫
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ২৭৫
বরিশাল ২য় ইনিংস: ৫০.১ ওভারে ১৩৭ (আগের দিন ১০/০) (মজিদ ১৩, ইফতেখার ৭, আদিল ১১, ফজলে মাহমুদ ৮, সালমান ০, তাসামুল ৪৬, মইনুল ১৪, মইন ৮, তানভির ২১, কামরুল ৫, রুয়েল ০*; আলি ১২-০-৪৮-৩, সানজামুল ২৩.১-৬-৪০-৬, মেহেরব ১-০-৪-০, মোহর ৩-০-১০-০, নিহাদউজ্জামান ৫-২-১১-০, ওয়াসি ৪-১-৪-০, সাব্বির ৪-২-১৬-১)
রাজশাহী ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৬৮) ১৫ ওভারে ৬৮/৪ (হাবিবুর ১৭, সাব্বির ৪, ওয়াসি ০, মিজানুর ১৬, মেহেরব ২৩*, প্রিতম ৫*; রুয়েল ৩-০-২২-১, কামরুল ৫-১-১২-২, তানভির ৫-১-২১-১, সালমান ২-১-১০-০)
ফল: রাজশাহী ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: সানজামুল ইসলাম