Published : 28 Apr 2025, 07:58 PM
টস যখন হলো, গ্যালারি তখন প্রায় খাঁ খাঁ করছে। কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীর আনাগোনা দেখা গেল শুধু। খেলার শুরুর পর পর অবশ্য কিছু দর্শক দেখা গেল। পরে দর্শকের সংখ্যা বাড়ল কিছু। টিকেট সংখ্যা নিয়ে যেমন খবর ছড়িয়ে পড়েছিল, বাস্তবে ততটা নাজুক অবস্থা হলো না।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল, বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের খেলা দেখার জন্য স্রেফ আটটি টিকেট বিক্রি হয়েছে। তবে সোমবার দিনজুড়েই কিছু দর্শকের উপস্থিতি দেখা গেছে।
টিকেট বিক্রির দায়িত্বে থাকা মধুমতি ব্যাংকের এক কর্মকতা জানালেন টিকেট বিক্রির প্রকৃত সংখ্যা।
“আটটি টিকেট বিক্রির ব্যাপারটি হয়তো আগের দিন একটি সুনির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত ছিল। প্রথম দিনের খেলা দেখার জন্য মোট ৫১২টি টিকেট বিক্রি হয়েছে। টাকার অঙ্কে ৩৪ হাজার টাকার মতো।”
এমনিতেও অবশ্য টেস্ট ক্রিকেটে ম্যাচের আগের দিন খুব বেশি টিকেট বিক্রি হয় না। সাধারণত, দর্শকেরা সাধারণত যে দিন খেলা দেখেন, সেদিনই টিকেট করে থাকেন।
সিলেট টেস্ট শুরুর আগেও টিকেটের সংখ্যা নিয়ে এরকম বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়ে পড়েছিল ৩৪টি টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে। তবে আদতে বেশ কিছু দর্শক দেখা গেছে প্রতিদিনই।
যদিও এই দর্শকসংখ্যা উল্লেখযোগ্য নয় তো বটেই, বরং বেশ বিব্রতকরই। যদিও চট্টগ্রামে টেস্ট ম্যাচে দর্শক বরাবরই কম হয়। শহর থেকে বেশ দূরে এই স্টেডিয়াম। গ্যালারির ছোট্ট একটি অংশ ছাড়া ছাউনি নেই। প্রচণ্ড গরমে সেখানে বসে টেস্ট দেখার আগ্রহী দর্শক খুব বেশি থাকে না বরাবরই। বড় দলগুলির বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া তেমন একটা দর্শক কখনোই হয় না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ ঘিরে আগ্রহ তো আরও কম। সঙ্গে যোগ হয়েছে বৈশাখের এই ভয়ঙ্কর গরম।
গ্যালারির যে অংশগুলোয় ছাউনি ছিল, সেখানেই দর্শকদের কিছুটা ভিড় দেখা গেছে শুধু। প্রথম দিনে ব্যাটিং করেছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ ব্যাটিং করলে হয়তো আরও কিছু দর্শক বেশি হতো।
দ্বিতীয় দিনে অবশ্য দর্শক সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বাংলাদেশ ব্যাটিং করবে এ দিন। এছাড়াও দ্বিতীয় দিন থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য টিকেট লাগবে না ঘোষণা করেছে বিসিবি। তবে তাদেরকে স্কুলের পোশাকে থাকতে হবে এবং আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।