আয়ারল্যান্ড ও নর্দান আয়ারল্যান্ড মিলিয়ে এখন চারটি আন্তর্জাতিক মাঠ থাকলেও স্থায়ী স্টেডিয়াম নেই একটিও।
Published : 15 Aug 2024, 12:41 PM
একটি স্থায়ী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভাবে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটের অগ্রগতি বাধাগ্রস্থ হয়েছে নানা সময়েই। টেস্ট খেলুড়ে দেশ হলেও স্থায়ী স্টেডিয়াম নেই তাদের। অবশেষে সেই শূন্যতা তাদের পূরণ হতে চলেছে। আয়ারল্যান্ডে একটি স্থায়ী ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে আইরিশ সরকার।
ডাবলিনের উপকণ্ঠ ব্লাডচার্ডসটাউনের ন্যাশনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গড়ে তোলা হবে এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সেখানে থাকবে একটি হাই পারফরম্যান্স সেন্টারও।
মূলত ২০৩০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চোখ রেখে এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে আইরিশ সরকার। ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ওই আসরের আয়োজন আয়ারল্যান্ডও।
আয়ারল্যান্ড ও নর্দান আয়ারল্যান্ড মিলিয়ে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু আছে চারটি। আয়ারল্যান্ডে ম্যালাহাইড ও ক্লনটার্ফ এবং নর্দান আয়ারল্যান্ডে স্টরমন্ট ও ব্রিডি। তবে এই সবকটিই মূলত ক্লাবের মাঠ, সেখানে দর্শক বসার স্থায়ী ব্যবস্থা নেই। আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময় অস্থায়ী আসনের ব্যবস্থা করা হয় এসব ভেন্যুতে।
স্থায়ী মাঠের অভাবে সবসময়ই ভুগতে হয়েছে আয়ারল্যান্ডকে। এই বছরই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ তারা স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয়েছে উপযুক্ত ভেন্যু ছিল না বলে। বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজসহ নানা সময়ে নিজেদের খেলা আয়োজন করেছে তারা ইংল্যান্ডে। সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ‘ঘরের’ সিরিজ তারা আয়োজন করবে আবু ধাবিতে।
তাদের সেই হাহাকারের দিন শেষ হবে এই স্টেডিয়াম দিয়ে। ধাপে ধাপে শেষ করা হবে নির্মাণ কাজ। প্রথম ধাপে মূল ক্রিকেট ওভালের কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালে। যেখানে থাকবে ৪ হাজার দর্শব বসার স্থায়ী আসন, হাই পারফরম্যান্স সেন্টার, ক্রিকেটার ও অফিসিয়ালদের প্যাভিলিয়ন। ইনডোর ও আউটডোর, দুই ধরনের অনুশীলনের ব্যবস্থাই থাকবে সেখানে।
স্টেডিয়াম তৈরির অনুমতি পেয়ে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ডিউট্রম।
“আমার মতে, এই দিনটির গুরুত্ব আমাদের আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হওয়ার দিনটির মতোই। আমাদের জাতীয় ক্রিকেটার ও রাজ্য ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলতে প্রস্তুত হতে, অনুশীলন করতে ও পারফর্ম করতে দারুণভাবে সহায়তা করবে নতুন এই স্টেডিয়াম ও এসব সুযোগ-সুবিধা।”