জাকের আলির সহজ ক্যাচ ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শার্মা নিতে না পারায় হ্যাটট্রিক হয়নি আকসার প্যাটেলের।
Published : 21 Feb 2025, 08:44 AM
কত কত কিংবদন্তি বোলারের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে কখনও হ্যাটট্রিকের স্বাদ না পেয়ে! আকসার প্যাটেল সেই সুবর্ণ সুযোগটি তৈরি করেছিলেন নিজের জন্য। কিন্তু প্রায় ধরা দিয়েও তা মিলিয়ে গেছে অধিনায়কের ব্যর্থতায়। প্রায় উদযাপন শুরু করেও মিইয়ে গেছেন তিনি। তবে অধিনায়কের প্রতি অভিমান নেই তার, ব্যাপারটিকে দেখছেন খেলার অংশ হিসেবেই।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে দুবাইয়ে ম্যাচের শুরুর দিকেই হ্যাটট্রিক আনন্দে মেতে ওঠার সুযোগ আসে আকসারের সামনে। টানা দুই বলে উইকেট শিকারের পর হ্যাটট্রিক ডেলিভারিতে ক্যাচ দেন নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলি। সহজ সেই ক্যাচটি নিতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শার্মা।
মুহূর্তের ব্যবধানে সেই আনন্দ আর হতাশার বিপরীতমুখি অনুভূতির কথা পরে শোনালেন আকসার।
“অনেক কিছু হয়ে গেছে খুব দ্রুত। প্রথম উইকেটে বুঝতেই পারিনি ব্যাটসম্যান (তানজিদ) আউট হয়েছে। তবে কেএল (রাহুল) আবেদন করেছে এবং সত্যিই আউট ছিল। এরপর দ্বিতীয় উইকেট পেলাম। পরের বলে যখন ব্যাটসম্যানের ব্যাটের কানায় লাগল বল, ভেবেছি হ্যাটট্রিক হয়ে গেছে!”
“(ক্যাচ পড়ার পর) আর তাকিয়ে থাকিনি। ঘুরে চলে গেছি শুধু। সব মিলিয়ে ঘটনাবহুল ওভার ছিল।”
সেটি ছিল ম্যাচের নবম ওভার আর আকসারের প্রথম। আক্রমণে এসে দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই তিনি আউট করেন ভালো খেলতে থাকা তানজিদ হাসানকে। যদিও তিনি সেভাবে আবেদনই করেননি। তবে কিপার লোকেশ রাহুল জোরাল আবেদন করেন। আম্পায়ার পল রাইফেল আঙুল তুলতে সময় নেন অনেকটা। রিপ্লেতে অবশ্য দেখা যায়, পরিষ্কার আউট ছিলেন তানজিদ। পরের ডেলিভারিতে অভিজ্ঞ মুশফিক রহিম প্রথম বলেই ধরা পড়েন কিপার রাহুলের গ্লাভসেই।
হ্যাটট্রিক ডেলিভারির আগে ব্যাটসম্যানের আশেপাশে ফিল্ডার বাড়ানো হয়। রোহিত নিজে ছিলেন প্রথম স্লিপে, দ্বিতীয় স্লিপে ও লেগ স্লিপেও আনা হয় ফিল্ডার। স্টাম্পের বাইরের বলটিতে খোঁচা দেন জাকের। বলে গতি তেমন ছিল না, ক্যাচ নেওয়ার জন্য উচ্চতাও ছিল আদর্শ। এমনিতে স্লিপে নিরাপদ ফিল্ডার হলেও এবার রোহিতের হাতে লেগে বল পড়ে যায় মাঠে।
হতাশায় রেসলিংয়ের রেফারিদের মতোই মাঠে তিনবার চাপড় মারেন রোহিত। উঠে দাঁড়িয়ে হাতজোড় করে ক্ষমাও চান আকসারের কাছে।
আকসার তাৎক্ষণিকভাবে মাথায় হাত দিয়ে মুখে মৃদু একটু হাসি ফুটিয়ে উল্টো ঘুরে বোলিং মার্কের দিকে চলে যান। খুব বেশি হতাশার প্রতিক্রিয়া তিনি দেখাননি। পরেও এই অলরাউন্ডার বললেন, ব্যাপারটিকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন তিনি।
“আমি তো উদযাপন করতে শুরু করেছিলাম। পরে যখন দেখলাম (ক্যাচ পড়ে গেছে), ঘুরে চলে গেছি। আর দেখিইনি। কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল না। নিজেকে বলেছি, ‘ঠিক আছে, সবারই এরকম হয়।’ খেলারই অংশ এসব। এরপর আর কিছু ভাবিনি।”
শুবমান গিলের সেঞ্চুরিতে এই ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু করে ভারত।