দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট উৎসবে এখন চলছে বিভাগীয় পর্যায়ের খেলা, এর ফাঁকে গত আসরের সেরা পারফরমারদেরকে দেওয়া হলো শিক্ষাবৃত্তি।
Published : 28 Apr 2024, 12:08 PM
‘দাঁত ভেঙেছে কিভাবে? বল লেগে দাঁত ভেঙে ফেলেছ…!’- মানিকগঞ্জের সিংগাইর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বাঁহাতি স্পিনার রিয়াদুলকে জিজ্ঞেস করলেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ। লাজুক হাসিতে ওই ক্ষুদে ক্রিকেটারের উত্তর, ‘হ্যাঁ…। ’ মুচকি হাসিতে তার পিঠ চাপড়ে দিলেন বিসিবি পরিচালক। এমন ছোট ছোট কথোপকথন আর খুনসুটিতে শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া ক্রিকেটারদের প্রেরণা জোগালেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের সেরা ১৫ ক্রিকেটারকে দেওয়া হয় এই শিক্ষাবৃত্তি। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে কক্ষে শনিবার এবার বৃত্তি পাওয়া ক্রিকেটারদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বৃত্তির অর্থ।
২০২৩-২৪ মৌসুমের প্রতিযোগিতার ট্রফিও উন্মোচন করা হয় এই আয়োজনে।
সারা দেশের ৩৫২টি স্কুলের প্রায় ৮ হাজার ৮০০ ক্ষুদে ক্রিকেটারের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছিল এই বছরের দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট উৎসব। শনিবার শেষ হয়েছে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। একই দিন ৬৪ জেলার সেরা স্কুলগুলো নিয়ে শুরু হয়ে গেছে বিভাগীয় পর্যায়ের খেলা।
এই ধাপে ১৪টি ভেন্যুতে ৫৭ ম্যাচ শেষে পাওয়া যাবে সাত বিভাগের সেরা দল। পরে চ্যাম্পিয়ন স্কুলের খোঁজে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হবে জাতীয় পর্যায়ের খেলা।
সারাদেশে চলমান তীব্র তাপদাহের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি ম্যাচে বিরতির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়োজকরা। একইসঙ্গে প্রতিটি ভেন্যুতে পর্যান্ত চিকিৎসা সুবিধাদি রাখার দিকেও মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন খালেদ মাহমুদ।
স্কুল ক্রিকেটের সবশেষ অবস্থা জানানোর পর মঞ্চে একে একে ডেকে নেওয়া হয় বৃত্তিপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের। তাদের হাতে ক্রেস্ট ও শিক্ষাবৃত্তির ৬০ হাজার টাকা করে তুলে দেন খালেদ মাহমুদ, প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম এ চৌধুরি ও বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ভাইস-চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা।
বৃত্তিপ্রাপ্ত ক্রিকেটাররা হলেন আজিজুল হাকিম তামিম, মারুফ হোসেন, শাহরিয়ার রাফিন, আলআমিন হোসেন রনি, শাহরিয়ার রহমান, এহসানুল হক মাহিম, আরেফিন নুর সিফাত, রিদয় হোসেন, সামিউল ইসলাম শুভ, সাদ ইসলাম রাজিন, নাদিম হোসেন, শেখ ইমতিয়াজ শিহাব, রিয়াদুল, মোহাম্মদ ইসলাম খলিফা, তাওয়াফ মাশরাফি।
এদের মধ্যে তাওয়াফ, সামিউল, ইমতিয়াজ ও আজিজুল গত বছরও এই শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছেন। এছাড়া স্কুল ক্রিকেটে পারফর্ম করে ২০২৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ প্রাথমিক দলে জায়গা করে নিয়েছেন ইমতিয়াজ ও আজিজুল।
২০১৫ সাল থেকে স্কুল ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে প্রাইম ব্যাংক। সেরা ১৫ ক্রিকেটারকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে বছর তিনেক ধরে। এছাড়াও স্কুল ক্রিকেটের সম্মিলিত একটি দল গড়ে গত বছর পাঠানো হয়েছিল ভারত সফরে।