টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের এই সংস্করণে ভালো করার পথও বাতলে দিয়েছেন ভারতের সাবেক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
Published : 17 Jun 2024, 07:47 PM
বোলিং ভালো হলে খারাপ হয়েছে ব্যাটিং, আবার দেখা গেছে উল্টো চিত্রও। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা এভাবেই কেটেছে পাকিস্তানের। বিশ্ব মঞ্চে তাদের হতশ্রী পারফরম্যান্স নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান ভিরেন্দার শেবাগ তো চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েই তুলেছেন প্রশ্ন।
শক্তি-সামর্থ্যে অনেক পিছিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সুপার ওভারের রোমাঞ্চে হার দিয়ে শুরু হয় পাকিস্তানের এবারের বিশ্বকাপ। ২০০৯ আসরের চ্যাম্পিয়নরা নিজেদের পরের ম্যাচে হেরে যায় ভারতের বিপক্ষেও। প্রতিপক্ষের ১১৯ রানও তাড়া করতে পারেনি বাবর আজমের দল।
পরের দুই ম্যাচে অবশ্য জয়ের স্বাদ পায় পাকিস্তান। তবে তাদের পারফরম্যান্সে ছিল না সেই চেনা ধার। কানাডার ১০৬ রান তাড়া করতে দলটি খেলে ১৮তম ওভার পর্যন্ত। সবশেষ ম্যাচে রোববার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও জিততে ঘাম ছুটে যায় তাদের। ১০৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে খেলতে হয়ে ১৯তম ওভার অবধি।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়া পাকিস্তানের পারফরম্যান্সে ভীষণ হতাশ শেবাগ। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আলাদা করে কথা বলেন আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে।
“আমরা ভাবিনি, আয়ারল্যান্ড ১০৬ রান করবে এবং আমরা এটাও ভাবিনি রান তাড়া করতে পাকিস্তানের ১৯ ওভার লাগবে। পাকিস্তান এখানে কী করেছে, আমি বুঝতে পারছি না। হ্যাঁ, তারা জিতেছে, কিন্তু প্রথমে তারা ৩২ রানে ৬ উইকেট হারানো দলকে ১০৬ রান করতে দিয়েছে। এমন নয় যে, এটি খুব কঠিন উইকেট ছিল বা আয়ারল্যান্ডের বোলিং অতো ভালো ছিল যে, রান তাড়া করতে এত সাবধানে খেলতে হতো তাদের।”
পাকিস্তানের ড্রেসিং রুমের আবহ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শেবাগ। কোনো ঝামেলা থাকলেও সেটা বাইরে রেখে সবাইকে দলের জন্য খেলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
“এবারের বিশ্বকাপে তারা বেশিরভাগ সময়ই খারাপ খেলেছে। আমি জানি না, তাদের ড্রেসিং রুমের আবহ কেমন। যদি খেলোয়াড়দের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, ভালো করতে এটাও একটা ভূমিকা রাখে।”
“যদি এমন খেলোয়াড় থাকে যারা অধিনায়কের ওপর অসন্তুষ্ট বা ড্রেসিং রুমে যদি দুই বা তিনটি গ্রুপ থাকে, সেটাও প্রভাব ফেলে। তবে আমি বলব আপনাকে এই বিষয়গুলো পাশে রেখে পাকিস্তানের জন্য চিন্তা করতে হবে। এই ম্যাচটা এত দীর্ঘ সময় ধরে চলা উচিত হয়নি। তবে ভালো, অন্তত ওরা জিতেছে।”
এরপর টি-টোয়েন্টিতে বাবরদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন শেবাগ। সাবেক বিধ্বংসী টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান এই সংস্করণে ভালো করার পথও বাতলে দিয়েছেন প্রতিবেশীদের।
“এখন বাবর আজমসহ বাকিদের পেছনে ফিরে ভাবতে হবে, টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ কোনটা। এই দল ভালো উইকেট পেলেও ভালো দলের বিপক্ষে ম্যাচ জেতাতে পারবে না।”
“আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে হলে, বাবর আজম যেভাবে খেলে তার চেয়ে ভিন্নভাবে খেলতে হবে, এটা নিশ্চিত। কয়েকজন খেলোয়াড় আছে যারা (সবসময়) একই স্ট্রাইক রেটে খেলে, যেটা টি-টোয়েন্টির জন্য যথেষ্ট নয়। তাদের এমন খেলোয়াড় খুঁজে বের করতে হবে যাদের স্ট্রাইক রেট বেশি, সেটা পিএসএল হোক বা ঘরোয়া ক্রিকেটে। আর সেই খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে হবে। এমন নয় যে, বাবর প্রথম দিনেই আজকের খেলোয়াড় হয়ে উঠেছে। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিতে সেও সময় নিয়েছে। তাই খেলোয়াড়দের পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।”