চার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন ১৪ শিক্ষার্থী।
Published : 30 Oct 2022, 10:04 PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের শিল্পকর্ম নিয়ে হয়ে গেল ১০ দিনের বার্ষিক প্রদর্শনী।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ আয়োজনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। সেখানে ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং, প্রিন্ট মেকিং, ভাস্কর্য ডিসিপ্লিন, ফাউন্ডেশন কোর্স- এই চার ক্যাটাগরিতে ১৪ জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক।
চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সারা বছরের কাজ থেকে বাছাই করা কাজ নিয়ে বার্ষিক প্রদর্শনী করে থাকে বিভাগটি। এবার প্রদর্শনীতে স্থান পায় ১৯৫ জন শিল্পীর ৩৪৫টি শিল্পকর্ম।
তৃতীয়বারের মত আয়োজিত এবারের প্রদর্শনীর পর্দা উঠেছিল গত ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে। ২০১৮ সাল থেকে এ আয়োজন শুরু হলেও মহামারীর দুই বছরে তাতে ছেদ পড়ে।
এবারের আয়োজনে তুলির আঁচড়ে ফুটে ওঠে যোগাযোগ মাধ্যমের বিবর্তন, নগরীর যান্ত্রিক জীবন, বদলে যাওয়া গ্রামীণ সমাজ, যুদ্ধবিরোধীর মত নানা বিষয়।
প্রদর্শনী দেখতে আসা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তারেক আহমেদ বলেন, “ছবিগুলো দেখে আমার মনে হচ্ছে, চারুকলা বিভাগ অনেকটা ঘরের মেয়ের মত। একটা মেয়ে যেমন বাড়িকে সাজিয়ে গুজিয়ে, পরিপাটি করে রাখে; চারুকলা বিভাগও বিশ্ববিদ্যালয়কে তেমন পরিপাটি রাখে। এরা না থাকলে প্রতিটা অনুষ্ঠানে ক্যাম্পাস এত সুন্দর করে সেজে উঠত না।”
চারুকলা বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী শাহনাজ জাহান বলেন, “নতুনরা এগিয়ে যাচ্ছে, খুবই ভালো লাগছে। জুনিয়ররা এত ভাল কাজ করছে, সিনিয়র হিসেবে গর্ব হচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিল্পকর্মের নিরাপত্তায়ও জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “কাজগুলো অনেক কষ্ট করে করে থাকেন শিল্পীরা। সেগুলো যেন কেউ না ধরে, নষ্ট না করে- সে ব্যবস্থা করা উচিত।"
চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বজলুর রশীদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে ছাত্রদের উৎসাহিত করা আমাদের উদ্দেশ্য, যাতে তারা আরও ভালো কাজ করে।
“কাজগুলো মানুষ দেখবে, তাদের মধ্যে সুন্দরের চেতনা জাগ্রত হবে। আমাদের উদ্দেশ্য এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা, শিক্ষার্থীদের মাঝে মননশীলতা তৈরি করা। শিল্পপ্রদর্শনী যত হবে, সমাজ থেকে তত অন্ধকার দূর হবে।”
বিভাগের ১০ বছর পূর্তিতে আগামী বছর আরও বড় পরিসরে প্রদর্শনী করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান অধ্যাপক বজলুর।