পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৯৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
Published : 09 Dec 2023, 04:48 PM
সহকর্মীকে মারধরের দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে পদাবনতি এবং এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা’ পাওয়ায় আরেক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ দুই সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভার সুপারিশ অনুযায়ী এদিনের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একই বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলামকে পদানবতি দিয়ে অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক করা হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, অধ্যাপক মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অসদাচারণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে পদানবতি দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক মেজবাহ্উলকে পাঁচ বছরের জন্য অধ্যাপক থেকে পদাবনতি দিয়ে সহযোগী অধ্যাপক করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিন্ডিকেট সদস্য জানান।
এদিকে অভিসন্দর্ভের (থিসিস) জমা দিতে গিয়ে গত অগাস্টে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা' পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটউটের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক ওয়াসেল বিন সাদাতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কোর্সের এক্সটার্নাল হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
এছাড়া পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভের জালিয়াতির মাধ্যমে ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি নেওয়ায় ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীরের ডিগ্রি বাতিল এবং সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপকে পদাবনতি করার সিদ্ধান্ত তিন বছর স্থায়ী করার বিষয়ে ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত' হয়।
এদিনের সিন্ডেকট সভায় গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুকের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিল ও প্রভাষক পদাবনতির নেওয়া সিদ্ধান্ত এবং তা তিন বছর স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
অপরদিকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদের মধ্যে পাঁচজনকে পরীক্ষাসহ ৪ বছর, ৫৩ জনকে পরীক্ষাসহ তিন বছর এবং ৩৯ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষাসহ দুই বছর বহিষ্কারসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। দুই জন শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট কোর্সের মিডটার্ম/ইনকোর্স পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)