এক কাউন্সিলরের সমর্থকদের দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীা; তবে ওই কাউন্সিলর তা অস্বীকার করেছেন।
Published : 15 Jun 2023, 11:58 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের চার ছাত্রকে মারধরের পর অন্য শিক্ষার্থীদের অবরোধে রাজধানীর আনন্দ বাজার সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার মুখের পথ দুই ঘণ্টার মতো বন্ধ ছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা এই অবরোধ করলে হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠানামার সড়কসহ আশপাশের সব সড়কে যান চালাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হাসিবুর রহমানের (মানিক) অনুসারীরা সন্ধ্যায় অমর একুশে হলের চার ছাত্রকে মারধর করেছেন। এ ঘটনার বিচার চেয়ে তারা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী থেকে পলাশীমুখী সড়কের মুখ অবরোধ করেন।
যারা হামলার শিকার হয়েছেন, তারা ছাত্রলীগে যুক্ত। কাউন্সিলর হাসিবুর রহমানও এক সময় ছাত্রলীগ করতেন।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত যান সেখানে। তারা বোঝানোর পর রাত ৯টার দিকে ফ্লাইওভারে ওঠার রাস্তাটি ছেড়ে দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
সৈকত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হয়েছে। একজনের মাথা ফেটে গেছে। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে।
“আমি এবং আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি, যে অপরাধী তাকে যেন গ্রেপ্তার করা হয়। অলরেডি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। বিষয়টি আরও ক্লিয়ার হওয়ার জন্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ।”
এদিকে কাউন্সিলর হাসিবুর দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় তার অনুসারী কেউ জড়িত নন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার লোকজন হামলা করেনি। এখানে কেউ ষড়যন্ত্র করে আমার নাম বলে দিয়েছে। এটা তদন্ত করে দেখা হোক। ওখানে তো সিসিটিভি আছে। যদি আমাদের লোকজন হয়, তাহলে বিচার হবে।”