পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন এক ছাত্রলীগ কর্মী।
Published : 02 Nov 2023, 09:01 PM
তুচ্ছ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক নারী শিক্ষার্থীসহ দুজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কয়েক কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ‘মারধরের শিকার’ দুই শিক্ষার্থী। এর পাল্টায় বৃহস্পতিবার আরেকটি অভিযোগ দিয়েছেন অভিযুক্তদের একজন।
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী ছোলায়মান খান বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে চা খেতে গিয়ে তিনি ও তার বান্ধবী মারধরের শিকার হন।
তাদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, চা শেষে ছোলায়মান কাপ দিয়ে এসে বসার টুল না পেয়ে সাদেকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সাদেক খান রাগান্বিত হয়ে কথা বলেন। তখন ছোলায়মানের বান্ধবী বোঝাতে গেলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে হিমু ও শুভসহ আরও ৪-৫ জন এসে ছোলায়মানের বান্ধবীকে বলে, “তুই ছেলে হলে তোকে মাটিতে পিষে ফেলতাম।”
পরিস্থিতি জটিল দেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করলে ছোলায়মানের বান্ধবীকে মারতে উদ্যত হয় হিমু ও শুভ। ছোলায়মান বাধা দিতে গেলে তার ওপরও আক্রমণ করা হয়। পরে তাদের মারতে মারতে রাস্তায় আনা হয় বলে ছোলায়মানের অভিযোগ।
তাতে ছোলায়মান মাথায়, হাতে ও ঘাড়ে ‘প্রচণ্ড’ আঘাত পান বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
ছোলায়মান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের ওপর হয়ে যাওয়া এমন নিকৃষ্টতম অত্যাচারের বিচার চাই এবং এমন বিধ্বংসী শিক্ষার্থীদের আগ্রাসন থেকে আশ্রয় প্রদানের কামনা করছি।"
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সাদেক খান পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৬তম এবং শুভ সাহা ও শরিফুল ইসলাম হিমু নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
বক্তব্য জানতে সাদেক খান ও শুভ সাহার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আর শরিফুল ইসলাম হিমু উল্টো ওই নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে হিমু বলেন, “মেয়ের গায়ে আমরা হাত তুলিনি। ওর সাথে আমাদের বাকবিতণ্ডাও হয়নি। এখন অনেকে ফোন দিয়ে বলছে, আমরা এসব করছি; আমাদের সম্মানের একটা ব্যাপার আছে, তাই অভিযোগ দিয়েছি।"
জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, “এ ঘটনার বিষয়ে প্রক্টর অফিস থেকে আমাকে কিছু এখনো জানানো হয়নি। বিষয়টি কী হয়েছে তা দেখে জানাব।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, যারা মারধরের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে, তাদেরকে বিভাগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ফের অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।