ক্যাম্পাস থেকে সরে যাওয়ার আগে রাতে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক সমন্বয়ক।
Published : 16 Jul 2024, 10:32 PM
মুখোমুখি অবস্থানের প্রায় পাঁচ ঘণ্টার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সরে গেছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। তবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রয়ে গেছেন টিএসসি এলাকায়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে আগের দিন এ দুই পক্ষের সংঘাতে জড়ানোর পর মঙ্গলবার দিনের মত রাতেও ক্যাম্পাসে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ।
আগের দিনের সংঘর্ষ, মারধর ও হামলার পর একই স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ করা নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তজনাকর পরিস্থিতি ছিল। দুই পক্ষের মারমুখী অবস্থানের মধ্যে সংঘাত এড়াতে পুলিশও ছিল প্রস্তুত।
ত্রিমুখী এমন অবস্থানের মধ্যে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে সরে যান। এর আগে তারা বিকালের বড় অংশজুড়ে শহীদ মিনার এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন।
যাওয়ার আগে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, “আগামীকাল পবিত্র আশুরার কথা বিবেচনা করে আমরা আজকের মত কর্মসূচি স্থগিত করছি। আমরা সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলে রাতে পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেব।“
এর আগে বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে লাঠিসোঁটা নিয়ে তারা বাকি সময় অবস্থান করেন।
অপরদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও বিকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন।
আগের দিনের সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাওয়া দুই পক্ষ এদিন বেশ কয়েকবার একে অপরকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করেন।
তবে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল সংলগ্ন মিশুক মুনীর চত্বরে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে রাখে।
রাত ৮টার দিকে আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনার থেকে ফুলার রোড হয়ে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আসেন। এ সময় তারা রাজু ভাস্কর্যের অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
পরে আন্দোলনকারীরা সেখানে ৪৫ মিনিট বিক্ষোভ দেখানোর পর স্থান ত্যাগ করেন।
এর আগে শহীদ মিনার এলাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম আন্দোলনকারীদের দিনের মত আন্দোলন স্থগিত করার আহ্বান জানালেও অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের অবস্থান নিয়ে অনড় থাকেন।
ঘটনাস্থল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, এ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল সংলগ্ন এলাকায় আড়াইশো থেকে তিনশ পুলিশ সদস্য অবস্থান নেয়।
অন্যদিকে টিএসসি ও রাজু ভাস্কর্য এলাকায় অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শহীদ মিনার ছাড়াও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা কার্জন হল, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল এলাকায় অবস্থান নেয়।
আরও পড়ুন