”আমার এক দুজন নয় হাজার বাংলাদেশিদের চাইছি, তারা যেন চীনে শিক্ষার সুযোগ লাভ করে, সফরকালে চীনা নেতাদের বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
Published : 30 Mar 2025, 06:18 PM
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রসারে চীন ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান।
বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর বর্তমানে চীনে পড়াশোনা করার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে তা আরও সম্প্রসারিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের বিষয়ে জানাতে রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর শেষে মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার চীন থেকে দেশে ফেরেন।
প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ৫০টি চমৎকার বর্ষ অতিক্রম করেছি, আগামী ৫০টি বছর কেমন করে আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তুলব তার একটা শক্তভিত্তি আমাদের দুই নেতা প্রধান উপদেষ্টা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ভিত্তিটা তৈরি করে দিলেন। এর একটি দিক হচ্ছে পানিসম্পদ ও অন্যদিকটা হচ্ছে শিল্পায়ন। এবং এ দুটো স্তম্ভ তারা শক্ত করে প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গেছেন।
”এগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ হচ্ছে আমাদের দুই দেশের মানুষের, পিপল টু পিপল কন্ট্যাক্টের একটি প্রধান বিষয় হচ্ছে বিভিন্ন এডুকেশন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক।”
তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি চীনা নেতাকে বলেছেন এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে বেশ কয়েকবছর আগে অনানারি প্রফেসর হিসেবে তাকে বরণ করা হয়েছিল, তিনি বলেছেন, ’আমার এক দুজন নয় হাজার বাংলাদেশিদের চাইছি, তারা যেন চীনে শিক্ষার সুযোগ লাভ করে।’
”ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তন সভায় আমাদের বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে। অন্যান্য প্রদেশেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী এখন অধ্যায়ন করছেন। আমি নিজেই কুনমিংয়ে গিয়ে দেখে এসেছি। আগামীতেও কুনমিংয়ের গভর্নর আসছেন এপ্রিল মাসে, শিক্ষা হবে ওই সফরের একটা বড় বিষয়।”
খলিলুর বলেন, “আমরা চাইছি বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, চীনে শিক্ষার যে সুযোগ সেটা লাভ করেন। আর এ বিষয়ে আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। এই যে দুটো কালচারাল সেন্টার করা ঢাকা এবং চীনে, তার একটা বড় উদ্দেশ্য হচ্ছে, পিপল টু পিপল কন্ট্যাক্ট আর শিক্ষার প্রসার। এ দুটো যেন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায়।”
চার দিনের সফরে প্রধান উপদেষ্টা চীনে পৌঁছান বুধবার। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর মুহাম্মদ ইউনূস প্রেসিডেন্সিয়াল বেইজিংয়ে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বিনিয়োগ সংলাপে অংশ নেন।
ইউনূসের এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ চীন সরকার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ, অনুদান ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। জলবিদ্যুৎ, বন্যা মোকাবিলা ও দুর্যোগ হ্রাস, নদী খনন এবং পানিসম্পদ উন্নয়নের মত বিষয়ে পারষ্পরিক সহযোগিতা জোরদারেও ‘একমত হয়েছে’ বাংলাদেশ ও চীন।