গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিয়মিত ভোট না হলেও ফি আদায় থেমে নেই।
Published : 10 Feb 2025, 08:46 AM
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আয়োজন নিয়ে মাঝে-মধ্যে শোরগোল হলেও এখনো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনার কথা বলেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এখন তারা বলছে, এ নির্বাচনের বিষয়ে একাধিক কমিটি কাজ করছে। সেখান থেকে কার্যকরী সুপারিশ এলে ভোট করা হবে।
আওয়ামী লীগ শাসনামলে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আধিপত্য ছিল একচেটিয়া। বর্তমান বাস্তবতায় ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান নিয়ে সংকট না থাকলেও ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারসহ নানা বিষয়ে তারা একমত হতে পারেনি। ফলে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়ে আছে।
শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। এর মধ্যে ২৯ বারই হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে। স্বাধীন দেশে ৫৩ বছরে মাত্র ৮ বার ভোট দেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। ডাকসু মনোনীত পাঁচ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য হন।
তারা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা ও সুযোগের বিষয় তুলে ধরেন সিনেটে। তবে নির্বাচন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে থাকছে না শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব।
নির্বাচন আয়োজনে ৩ কমিটি
ডাকসু নির্বাচনের প্রশ্নে ইতোমধ্যে তিনটি কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের বিষয়ে পরামর্শ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশাকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অধ্যাপক বিদিশা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দীর্ঘমেয়াদি ও সর্বোত্তম বন্দোবস্তের জন্যে কাজ করছে, তবে এটিকে ধীরগতি বলা যায় না।”
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন বা সংশোধনের জন্য উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের আরেকটি কমিটি করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ডাকসুর বিষয়ে গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য বিভিন্ন অংশীজনের কাছে প্রস্তাব আহ্বান করেছি। আমাদের প্রস্তুতি এই পর্যায়ে আছে।”
ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র সংশোধন বা পরিমার্জনের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হককে আহ্বায়ক করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অধ্যাপক ইকরামুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে।”
কখন ডাকসু নির্বাচন হতে পারে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো আমাদের কাজ। প্রশাসন নির্বাচনের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে জানাবে।”
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের এসব কমিটির কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন।
“তারা যদি আমাদেরকে কার্যকরী কোনো সুপারিশ করেন, তবেই আমরা ডাকসু আয়োজন করতে পারব।”
‘নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনীতি চর্চার প্রকৃতি ও ধরন বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিশ দেওয়ার জন্য গত ১৪ নভেম্বর একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সদস্য আবুল কাসেম ফজলুল হক ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, “মূলত দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্কে যাতে ভালো থাকে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। দ্বিতীয়ত ডাকসু এবং হল ইউনিয়নের নির্বাচন যাতে ভালো হয়; কেউ যেন বিশেষ সুবিধা না পায়। সকলের মতামত অনুযায়ী সুন্দরভাবে এই কাজটা করতে চাচ্ছি।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান গত ৪ জানুয়ারি বলেছিলেন, “ডাকসু আমাদের অঙ্গীকার। ডাকসু আয়োজনের জন্য কমিটি গঠন করে দিয়েছি।
“কমিটি সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে যে সুপারিশ জমা দেবে, সেই সুপারিশের আলোকেই উৎসবমুখর ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন।”
পরে এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, “তিনটি প্রক্রিয়া- ওয়ার্কিং কমিটি, সিন্ডিকেট মিটিং এবং সাধারণ শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনার পর নির্ধারণ করা হবে ডাকসুর রোডম্যাপ।”
ফি থেমে নেই
ডাকসু সচল না থাকলেও প্রতি বছরই ফি দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। হিসাব দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর ভর্তির সময় ডাকসুর জন্য ৬০ টাকা এবং হল সংসদের জন্য ৬০ টাকা করে জমা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৭ হাজার ১৮ জন। সেই হিসাবে বছরে ৪৪ লাখ ৪২ হাজার ১৬০ টাকা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
২০১৯ সালে সবশেষ ডাকসু নির্বাচনের পর ছয়টি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে হিসাবে গত পাঁচ বছরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকার বেশি ফি আদায় করা হয়েছে।
ডাকসুর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা বাবদ প্রতি বছর খরচ করা হচ্ছে কম বেশি ৩০ লাখ টাকা। তবে ডাকসু সক্রিয় না থাকায় তারাও ভূমিকা রাখতে পারছেন না।
ছাত্র সংগঠনগুলো যা বলছে
কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশাপাশি বেশ কিছু ছাত্র সংগঠন দ্রুত নির্বাচন চাইলেও সংস্কারের আগে তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন চাইছে না ছাত্রদলসহ একাধিক বাম ছাত্রসংগঠন।
সংস্কার শেষে স্থিতিশীল পরিবেশে নির্বাচনের দাবি তাদের। অন্যদিকে ছাত্রশিবির দ্রুত নির্বাচন চাইছে, সেই সঙ্গে কিছু সংস্কারও।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, “কোটা আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ই শিক্ষার্থীরা ঠিক করে নিয়েছে- এটাই প্রকৃত শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে আনার সময়।”
শিক্ষার্থীদের রক্ত ও জীবনের উপর দাঁড়ানো এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রথমেই ডাকসু কার্যকর করা উচিত ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য বহুতল ভবন নির্মিত হয়। অপরদিকে নারী শিক্ষার্থীরা একটি সিটের জন্য অনশন করেন, আবার মহসীন হলের আবাসিক ছাত্ররা মাথায় ছাদের পলেস্তরা ভেঙে পড়ায় আহত হন। এর কারণ কর্মচারীদের প্রতিনিধি রয়েছে, কিন্তু শিক্ষার্থীদের কোনো প্রতিনিধি নেই- তাদের হয়ে কেউ কথা বলে না।”
আব্দুল কাদের বলেন, “ডাকসু সবসময়ই প্রাসঙ্গিক। এতকাল আমরা দেখেছি- সরকারি ছাত্র সংগঠনগুলোকে দিয়ে শিক্ষার্থীদের কুক্ষিগত করে রাখা হত। প্রশাসনে থাকা নামধারী শিক্ষকদের ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে ডাকসু না দেওয়ার একটা প্রবণতা তৈরি করা হয়।
“বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সবসময়ই শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আসছে এবং ২৪-পরবর্তী সময়ে সকলেই শিক্ষার্থীদের চেতনা ও চাহিদাকে মূল্যায়ন করে রাজনীতি করবে এটাই প্রত্যাশা করে।”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বলছে, বিদ্যমান গঠনতন্ত্র সংস্কারের মাধ্যমে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত হলেই ডাকসু নির্বাচন হওয়া উচিত।
সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, “ডাকসু নির্বাচনের সঠিক সময় নির্দিষ্ট মাস বা দিন হিসাবে বলার সুযোগ নেই।
“ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, তাতে ডাকসুর বিদ্যমান গঠনতন্ত্রকে সংস্কারের মাধ্যমে সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকভাবে যাতে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরি হয়- সেজন্য ডাকসু নির্বাচন করতে হবে। তবে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার পরই ডাকসু নির্বাচন হওয়া উচিত।”
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল জয়ী হবে- এমন আশা প্রকাশ করে শিপন বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি ছাত্র সংগঠন। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ছাত্র সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে।
“এজন্য যে কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ছাত্রদল সাধুবাদ জানায় এবং সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সর্বশেষ কলঙ্কিত ডাকসু নির্বাচনের আগে স্বাধীনতা পরবর্তী যতগুলো ডাকসু নির্বাচন হয়েছে; তাতে একক ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রদলের ইতিহাস অত্যন্ত উজ্জ্বল।”
জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছিল ইসলামী ছাত্রশিবির।
সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি কোনো কারণে ডাকসু নির্বাচনের জন্য অতিরিক্ত সময় চায়, সেটার যৌক্তিক কারণ দর্শাতে হবে।”
ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারের বিষয়ে ১৩ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রশিবির নয়টি প্রস্তাব তুলে ধরে। তারা সভাপতি হিসেবে উপচার্যের ক্ষমতা হ্রাস করে পদটিকে আলঙ্করিক করার প্রস্তাব রেখেছেন, যাতে সভাপতির কোনো নির্বাহী ক্ষমতা না থাকে।
ছাত্রশিবিরের ভাষ্য, ডাকসু সভাপতিকে যে ‘অসীম স্বেচ্ছাচারী’ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা যে কোনো অর্থেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
ডাকসুর বিদ্যমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, উপাচার্য পদাধিকারবলে ডাকসু সভাপতি মনোনীত হন। তার তত্ত্বাবধানে ডাকসুর সব সভা, নির্বাহী কমিটি, অন্যান্য কমিটি ও উপকমিটির সভা হয়। তিনি ডাকসু পরিচালনা, জরুরি অবস্থা, অচলাবস্থা বা নিয়ম ভঙ্গের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন।
যে কোনো সময় যে কোনো কমিটির সদস্যকে বহিষ্কার বা সম্পূর্ণ কমিটি বাতিল বা নতুন নির্বাচন আহ্বানসহ একাধিক ক্ষমতা পদাধিকারবলে উপাচার্যকে দেওয়া রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ২০১৯ সালের সংশোধিত সম্পাদকীয় পদ অনুযায়ী, ডাকসুতে ১৪টি পদ রয়েছে। ছাত্রশিবির ‘নারী ও সমতা বিষয়ক সম্পাদক’ এবং ‘ধর্ম ও সম্প্রীতি বিষয়ক সম্পাদক’ নামে নতুন পদ তৈরির পাশাপাশি কিছু পদে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করেছে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের সমন্বয়ক সালমান সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছেন, ডাকসু নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি সালমান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ডাকসু নির্বাচন বন্ধ থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছিল। ৫ অগাস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে গণতান্ত্রিক ভিতের ওপর দাঁড় করানোর আকাঙ্ক্ষা প্রবল হয়েছে।
“এর অংশ হিসেবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে। তবে ডাকসু নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সব সংগঠন সমানভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারে।”
পুরনো খবর