“আমাদের পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই তাদেরকে আজ সড়কে নামতে দেওয়া হবে না,” বলছেন ওসি রাসেল।
Published : 19 Nov 2024, 02:06 PM
সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচির মধ্যে ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ প্রবেশ করায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভের মুখে দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে গেইটের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
পুলিশ বলছে, কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের সড়কে নামতে দেওয়া হবে না। আর শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের ‘ক্লোজডাউন’ কর্মসূচি চলছে; সড়ক বা রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আগেরদিন মহাখালীতে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন তিতুমীর কলেজের শত শত শিক্ষার্থী। দুই ঘণ্টার বিরতিতে সন্ধ্যা ৬টায় ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা। রাত ৯টায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে মহাখালী-গুলশান সংযোগ সড়কের অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে কলেজের সামনে, আমতলীসহ আশপাশের সড়কে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। একইসঙ্গে রাওয়া ক্লাবের সামনে থেকে মহাখালী রেলগেট পর্যন্ত সড়কে দেখা গেছে সেনা সদস্যদের। রেললাইনের পাশ দিয়ে পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে।
কলেজের বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিপুল পরিমাণে পুলিশ মোতায়ন ছিল। তবে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে দুপুর পৌনে ১টার দিকে তারা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে গেইটের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
“আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ‘ক্লোজডাউন’ কর্মসূচি পালন করছি। আজকে কোথাও রাস্তা বা রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি নেই।"
সোমবারের অবরোধে জনভোগান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে পরদিন সকাল থেকে পুরো এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকার কথা জানিয়েছেন বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার।
তিনি বলেন, “আমাদের পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই তাদেরকে আজ সড়কে নামতে দেওয়া হবে না।
“সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ অ্যাকশনে যাবে।”
সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য জানতে অধ্যক্ষ শিপ্রা রাণী মন্ডলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে অধ্যক্ষের অফিসে গেলে জানানো হয়, তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছেন না।