ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে পদবঞ্চিত নেতারা বিক্ষোভ করেছেন।
Published : 28 Dec 2024, 10:21 PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছেন পদবঞ্চিতরা।
শীতকালীন ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় তারা মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস ঘোরেন। পরে তারা ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সবুজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কমিটিতে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদেরই রাখা হয়েছে। আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে, কারণ আমরা সেন্ট্রাল সভাপতি-সেক্রেটারির কাছের মানুষ না।
“এই কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম ও এগারোতম ব্যাচের কাউকেই রাখা হয়নি। এটা স্পষ্ট বৈষম্য। প্রয়োজনে কমিটিতে পদ সংখ্যা বাড়াতে পারত।”
সাইফুলের ভাষ্য, “রোববার বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে, তারা যেন ক্যাম্পাসে এসে কোনো বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, সেজন্য আমরা সচেতন থাকব। আমাদের দাবি এই 'পকেট কমিটি' বাতিল করে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হোক।”
বিক্ষোভে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্লাত পাটোয়ারী, জাফর মাহমুদ, ইমরান মোল্লা, হান্নান মাহমুদ, মহব্বত হোসেন বাবু, শাহাদাত হোসেন, নিবিড় মুন্সি, রাজু আহম্মেদ, আহসান মল্লিক, তুষার পাল, আহমেদ কাউসার আকাশ, মিয়া রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয় মঙ্গলবার। ওই কমিটিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেলকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। আর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল আরেফিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটি ঘোষণার দিনই সন্ধ্যায় পদবঞ্চিত নেতারা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে নতুন কমিটি ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন। অছাত্র, অনিয়মিত ও ‘ছাত্রলীগকে নিয়ে’ ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে দাবি তোলেন। পরদিন বুধবার ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি বাতিলের দাবি করেন।
বিষয়টি নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নতুন সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাধারণ শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরে আছি। পদ-পদবি নিয়ে অনেকের অনেক প্রত্যাশা থাকে, আমাদের ক্ষেত্রেও ভিন্ন নয়।
“অভিমান, অভিযোগ জানানোর মাধ্যম আছে, তারা সেখানে জানাতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের, সেখানে কোনো সংগঠনের কোনো ব্যক্তিই শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশে বিঘ্ন ঘটানোর এখতিয়ার রাখে না।”
এদিকে ছুটি শেষে ক্যাম্পাসে প্রবেশে শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সঙ্গে রাখতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, “শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা ও ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলার স্বার্থে আমরা সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর। ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ ঠিক রাখতে প্রক্টরিয়াল টিম কাজ করছে।”