“ভবিষ্যতে যাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তাদের রাজস্ব আয় থেকেই তাদের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও সম্পন্ন করতে পারে সেই সক্ষমতা অর্জনে মনোযোগ দিতে হবে।”
Published : 22 Jan 2024, 06:49 PM
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) বিমানবন্দরে সেবার মান ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
সোমবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এভিয়েশন শিল্পের বাজার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বর্ধিত বাজারের সুবিধা গ্রহণ করতে হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয় আরো বৃদ্ধি করার জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং তা নিশ্চিতে সকলকে কাজ করতে হবে।
“ভবিষ্যতে যাতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তাদের রাজস্ব আয় থেকেই তাদের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও সম্পন্ন করতে পারে সেই সক্ষমতা অর্জনে মনোযোগ দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “বিমানবন্দর ভিত্তিক সকল সেবা ডিজিটাইজড করতে হবে যাতে মানুষ সহজে সেবা পায় এবং তাদের দুর্ভোগ কমে আসে। বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তার আন্তর্জাতিক মান ধরে রাখার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”
বিমানবন্দরের সব কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ধারাবাহিক ও সময়োচিত মানব সম্পদের উন্নয়নেও এসময় জোর দেন তিনি।
পরে মন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদর দপ্তর বলাকা ভবনে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি সঠিক সময়ে বিমান ছাড়া, দ্রুততম সময়ে লাগেজ ডেলিভারি দেয়া এবং ইনফ্লাইট যাত্রী সেবা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মো. মুফিদুর রহমানসহ বেবিচক, বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।