সরকারি সংস্থাটি বলেছে, “প্রাপ্যতা সাপেক্ষে প্রতিকেজি ৭০ টাকা দরে কয়েকটি স্থানে ১ কেজি করে চিনি বিতরণ করা হবে।”
Published : 08 Nov 2023, 11:46 PM
যে কয়েকটি পণ্যের দামবৃদ্ধি এই মুহূর্তে জনগণকে কষ্ট দিচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে পেঁয়াজকে বাদ দিয়েই ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রি করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা টিসিবি।
লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়তে থাকা চিনি কার্ডধারীরা পাবেন কি না সেটিও নিশ্চিত নয়।
বৃহস্পতিবার চলতি নভেম্বর মাসের বিপণন কাজের উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার সরকারি সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, নভেম্বরে ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার করে সয়াবিন অথবা রাইস ব্রান অয়েল (ধানের কুঁড়ার তেল), ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল, ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল বিতরণ করা হবে।
সাধারণত টিসিবির পণ্য তালিকায় মূল্যবৃদ্ধির সময়ে পেঁয়াজ যুক্ত করা হয়। কিন্তু গত অক্টোবরেও সব গ্রাহককে পেঁয়াজ দেওয়া সম্ভব হবে না বলে টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
গত কয়েক মাস ধরে যেসব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা, সেগুলোর একটি পেঁয়াজ। ভারত থেকে আমদানি করে দাম নিয়ন্ত্রণের যে উপায় খোঁজা হয়েছিল, তা কয়েক মাস কাজ করলেও দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সে কৌশলও ব্যর্থ হয়েছে।
দেশের বাজারে দেশি পেঁয়াজের দর এখন কোথাও ১২০, কোথাও ১৩০, কোথাও ১৪০ টাকা। বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতের কলকাতাতেই পেঁয়াজের দর এখন ৮০ রুপি বা এর চেয়ে বেশি। বাংলাদেশের মুদ্রায় এটি ১১০ টাকার বেশি হয়ে যায়।
টিসিবি বিবেচনায় রাখেনি আলুও। ভারত থেকে আমদানি শুরু হওয়ার পর রান্নার এই উপকরণটির দাম কিছুটা কমে এলেও এখনও তা ৪৫ থেকে ৫০ টাকার ঘরে, যা বছরের এমন সময় ২৫ থেকে ৩০ টাকার ঘরে থাকে।
টিসিবি চিনি দেবে কি না, সেটিও নিশ্চিত নয়। তারা বলেছে, “আর প্রাপ্যতা সাপেক্ষে প্রতিকেজি ৭০ টাকা দরে কয়েকটি স্থানে ১ কেজি করে চিনি বিতরণ করা হবে।”
বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার তথ্য দিয়ে দেশে চিনি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোও দর বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশে এখন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার ঘরে চিনি বিক্রি হচ্ছে। এই পণ্যটির এত দাম এর আগে কখনও দেখেনি মানুষ।