১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় এ স্বর্ণ কিনে নিয়েছে ভেনাস জুয়েলার্স।
Published : 03 Apr 2024, 08:22 PM
প্রায় ১৬ বছর পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা ২৫ কেজি স্বর্ণ নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হল ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, বুধবার নিলামের মাধ্যমে এ স্বর্ণ কিনে নেয় ভেনাস জুয়েলার্স।
“স্বর্ণ নিলামে তুলতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। নিলামের পর ২৫ কেজি ২৬৩ গ্রাম বিভিন্ন মানের সোনা আজ হস্তান্তর করা হল।”
বিভিন্ন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংস্থার অভিযানে আটক সোনা থেকে এই পরিমাণ সোনা বিক্রি করা হল। সোনা বিক্রি করতে ২০২২ সালের নভেম্বর দেশের চারটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, ২৫ দশমিক ৩১ কেজি সোনা বিক্রি হবে।
কিন্তু সে সময় ‘উপযুক্ত’ ক্রেতা না পাওয়ায় দ্বিতীয়বার নিলাম ডাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয় বারের নিলামে অংশ নেয় ভেনাস জুয়েলার্স।
বর্তমানে দেশের বাজারে ১৮ ক্যারেট সোনার প্রতি গ্রামের দাম আট হাজার টাকা। সর্বোচ্চ মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেট সোনার প্রতি গ্রামের দাম ৯ হাজার ৭৮০ টাকা। আর ২১ ক্যারেটের সোনার দর এর চেয়ে একটু কম।
অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন বন্দরে আনার সময়ে এবং আইন-শৃঙ্কলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে জব্দ ও আটক স্বর্ণ যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাণ্ডারে। এছাড়া পরিত্যাক্ত অবস্থায় পাওয়া সোনাও সেখানে জমা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, তা আদালতের মাধ্যমে জব্দ করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও শুল্ক অধিদপ্তরসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আদালতের নির্দেশে তা সংরক্ষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই সোনা রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে বিশেষ ভল্ট রয়েছে। যেসব সংস্থার মাধ্যমে সোনা আটক বা জব্দ হয়, তাদের উপস্থিতিতে সেই সোনা ভল্টে রাখা হয়। জব্দ তালিকার একটি স্বাক্ষরিত অনুলিপি ওই সংস্থার কাছেও সংরক্ষণ করা হয়।
রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর ও অদাবিকৃত স্বর্ণ নিলামে বিক্রির জন্য আদালতের অনুমতির পর মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেয় সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থা।
এসব প্রক্রিয়া শেষ করার পর নিলাম দরপত্র ডাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোনা বিক্রির পর প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়।
সর্বশেষ ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রায় ২২ কেজি সোনা নিলামে বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।