শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি'র যাত্রা শুরুর মধ্য দিয়ে আর্থিক খাতে ব্যবসার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারণ করল শান্তা গ্রুপ।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কোম্পানি জানিয়েছে, গত কয়েক দশক ধরে সাফল্যের সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের স্বাক্ষর রেখে দেশের ক্রমবর্ধনশীল জীবন বীমা শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা থেকেই শান্তার এই নতুন উদ্যোগ।
বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বাংলাদেশে মোট ৩৫টি জীবন বীমা কোম্পানি রয়েছে। এই খাতের নতুন সংযোজন হিসেবে ইতোমধ্যে শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) থেকে লাইসেন্স পেয়েছে।
কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা খন্দকার মনির উদ্দিন।
তিনি বলেন, "আমরা মনে করি, বাংলাদেশে বীমা শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স নিয়ে আমাদের লক্ষ্য, বাংলাদেশে জীবন বীমা সেবার মান পুনঃসংজ্ঞায়িত করা, অধিকতর জনসংখ্যাকে বীমার আওতায় এনে দেশের আর্থিক খাতকে সমৃদ্ধশালী করা এবং সাধারণ মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করা।"
‘মানসম্মত ও উদ্ভাবনী বীমা পরিষেবা’ দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স বদ্ধপরিকর জানিয়ে তিনি বলেন, "ব্যবসার প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড ইমেজ এবং গ্রাহকের আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে শান্তা। আমি বিশ্বাস করি, সেই অভিজ্ঞতা এবং আমাদের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে বীমা খাতেও শান্তা একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হবে।"
শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সঙ্গে উদ্যোক্তা হিসেবে যুক্ত আছেন ফারজানা হাসান, রেইভেন হাসান, ইফতেখার রহমান, আবরার আলম আনওয়ার, এম আনিসুল হক, এফসিএমএ এবং হোসাম মো: সিরাজ।
আরও যুক্ত আছে শান্তা হোল্ডিংস, শান্তা লাইফস্টাইল, শান্তা মাল্টিভার্স, শান্তা সিকিউরিটিজ, শান্তা প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট, এফএআর অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট এবং ন্যাশা হোল্ডিংস লিমিটেড এর মত কোম্পানি।