এলডিসি থেকে উত্তরণের আগেই চুক্তি করার পক্ষে বাংলাদেশ, জানান তিনি।
Published : 12 Dec 2022, 08:19 PM
জাপানের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) কিংবা ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) হলে বাংলাদেশ থেকে আরও পোশাক রপ্তানিসহ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়বে বলে মনে করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, “জাপানের বাজারে এখন এক বিলিয়ন ডলারের বেশি তৈরি পোশাক বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে। আগামীতে মুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে এ রপ্তানি আরও বাড়বে।”
সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অথবা অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষরের লক্ষ্যে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরুর বিষয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, “জাপান বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্য সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যে এফটিএ বা ইপিএ স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”
তিনি জানান, এর অংশ হিসেবে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার পর এর ফলাফলের ভিত্তিতে এফটিএ বা ইপিএ সম্পাদনে সমঝোতা শুরু হবে।
তিনি বলেন, “আজকে মাত্র পথচলা শুরু হল। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার পর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে প্রকৃত ক্রাইসিস শুরু হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০২৬ সালের আগেই যেন আমরা দুই পক্ষ একটি এফটিএ বা ইপিএ চুক্তি করতে পারি।”
এসময় ঢাকায় জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশের সাথে জাপানের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘ ৫০ বছরের। আরও বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
“জাপান বাংলাদেশের সাথে ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে চায়। বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় জাপান পাশে থাকবে।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরে জাপানে এক দশমিক ৩৫৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। একই সময়ে ২ দশমিক ৪১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।
বাংলাদেশে জাপানের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে দেশটি।