মানি এক্সচেঞ্জে সিআইডির অভিযান, গ্রেপ্তার ১৪

তাদের কাছ থেকে এক কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৮২৬ টাকা সমমূল্যের ১৯টি দেশের মুদ্রাসহ এক কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৬ টাকা জব্দ করার কথা জানিয়েছে সিআইডি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2023, 09:06 AM
Updated : 18 Jan 2023, 09:06 AM

অবৈধভাবে ডলার বেচাকেনার খবর পেয়ে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান ১ নম্বর, উত্তরার দুই জায়গা, আশকোনা ও মোহাম্মদপুর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন– আবু তালহা, তাহারত ইসলাম তোহা (৩২), আছাদুল শেখ (৩২), হাছান মোল্যা (১৯),  আব্দুল কুদ্দুস (২৪), হাসনাত এ চৌধুরী (৪৬), মো. শামসুল হুদা চৌধুরী রিপন (৪০),  মো. সুমন মিয়া (৩০), তপন কুমার দাস (৪৫), আব্দুল কুদ্দুস (৩২), কামরুজ্জামান রাসেল (৩৭), মো. মনিরুজ্জামান ( ৪০),  মো. নেওয়ারা বিশ্বাস, মো. আবুল হাসনাত (৪০) ও মো. শাহজাহান সরকার (৪৫)।

তাদের কাছ থেকে এক কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৮২৬ টাকা সমমূল্যের ১৯টি দেশের মুদ্রাসহ এক কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৬ টাকা জব্দ করা হয়।

বুধবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডির সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আলী বলেন, সিআইডির ‘ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট’ এসব মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালায়।

“এ ধরনের প্রায় এক হাজার অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ সারাদেশে রয়েছে। এই এক্সচেঞ্জগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল বলে সিআইডির কাছে অভিযোগ রয়েছে। দেশে বৈধ এক্সচেঞ্জ আছে ২৩৫টি।”

অভিযানে পাওয়া তথ্যে বিস্ময় প্রকাশ বরে সিআইডি প্রধান বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদ তারা প্রতিদিন প্রায় ৭৫ লাখ টাকা লেনদেন করার কথা বলেছে। তাহলে এক হাজার অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ কত টাকা লেনদেন করে!”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ৭৫ লাখ টাকার মধ্যে কত টাকা হুন্ডি বা পাচার হয়, তা জানতে গ্রেপ্তারদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যাবে।

সিআইডির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসলে যা লেনদেন হয় তার বড় অংশই বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে তাদের ধারণা।


সরবরাহ সংকটে খোলা বাজারে ডলারের দর গত বছরই একশ টাকা ছাড়িয়ে যায়। তারপরও দিনের পর দিন দর চড়তে থাকার পেছনে মানি এক্সচেঞ্জগুলোর কারসাজির অভিযোগ ওঠে।

বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শনে নেমে মানি চেঞ্জারগুলোতে অনিয়মও খুঁজে পায়। বেশ কয়েকটি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত এবং ১১টির বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ডলার নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, দেশে অনুমোদিত ২৩৫টির বাইরে আরও সাতশর মত মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে। ওই সময় সিইআইডি মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযানে নামার কথাও জানিয়েছিল।