পাওনা টাকা উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
Published : 02 Nov 2023, 03:05 PM
ট্রাভেল এজেন্ট ও কর্গো এজেন্টদের কাছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাওনা প্রায় ১৪ কোটি টাকা, কিন্তু অনেক ট্রাভেল এজেন্টের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
সংসদ সদস্য হাবিবর মো. রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাওনা টাকা পুনরুদ্ধারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু এজেন্ট দেউলিয়া হয়ো যাওয়ায় এবং লিকুইডেশন প্রক্রিয়ায় থাকায় সে উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।
“অনেক এজেন্টের দেওয়া ঠিকানায় যোগাযোগ করে কোনো অফিস/অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কিছু এজেন্টদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে।”
প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্টের কাছে বিমানের পাওনা (খেলাপি) ১২ কোটি ৩০ লাখ ৯২ হাজার ২২৩ টাকা। আর কর্গো এজেন্টের কাছে পাওনা এক কোটি ৬৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮০ টাকা।
দূষণ-বনায়ন
এম আব্দুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, দেশে বায়োমাস ও পৌরবর্জ্য পোড়ানো, ইটভাটার সৃষ্ট দূষণ, অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কার্যক্রম থেকে সৃষ্ট ধুলাবালি, যানবাহনের কালো ধোঁয়া, শিল্পকারখানার দূষণ বায়ু দূষণের মূল কারণ।
“এছাড়াও আন্তঃসীমান্ত দূষণ দেশের বায়ু দূষণের মাত্রাকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রচলন অত্যন্ত জরুরি।”
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জাবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের মোট আয়তনের ২২.৩৭ শতাংশ এবং বন আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের মোট আয়তনের ১৪.০১ শতাংশ।
“বন অধিদপ্তর দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা ও পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প ও রাজস্ব বাজেটের আওতায় বিভিন্ন ধরনের বনায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।”
হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবরবতন মন্ত্রী জানান, দেশে সংরক্ষিত বনভূমির পরিমান ৯১ হাজার ৩৮১ দশমিক ৮৯ একর। সংরক্ষিত বনভূমি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নীলফামারী, নওগাঁ ও নোয়াখালী জেলায় অবস্থিত।
মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে শাহাব উদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিলে বরাদ্দ অর্থ ও তহবিলের সুদ থেকে তিন হাজার ৬৯০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮৬১টি সরকারি ও ৬১টি বেসরকারিসহ ৯২২টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে ৬০১টি সমাপ্ত হয়েছে।