যথাসময়ে রপ্তানি আয় দেশে আনতে বিনিময় হার বেঁধে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

পণ্য রপ্তানি করার চার মাসের (১২০ দিন) মধ্যে রপ্তানি আয় দেশে আনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর ওই সময়ের মধ্যেই তা নগদায়ন (রিয়েলাইজ) করার নিয়ম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2023, 02:48 PM
Updated : 6 March 2023, 02:48 PM

রপ্তানি আয় দেশে আনার সর্বশেষ ধার্য দিনে ডলারের যে বিনিময় হার থাকবে; সেই দর অনুযায়ী নগদায়ন করে উদ্যোক্তাদের সমপরিমাণ টাকা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রপ্তানি আয় যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশে আনা হয়, তা নিশ্চিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পদক্ষেপ নিল।

পণ্য রপ্তানি করার চার মাসের (১২০ দিন) মধ্যে রপ্তানি আয় দেশে আনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর ওই সময়ের মধ্যেই তা নগদায়ন (রিয়েলাইজ) করার নিয়ম।

সোমবার এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, রপ্তানি আয় দেশে আনার নির্দিষ্ট সময়ের পরও কেউ যদি দেরি করে, তাহলে যে সময়ের মধ্যে রপ্তানি আয় দেশে আসার কথা ছিল, ওই সময়ের শেষ দিনের ডলারের বিনিময় হার অনুযায়ী তার আয় নগদায়ন হবে।

অর্থাৎ, টাকার মান যদি হ্রাস-বৃদ্ধি যাই হোক না কেন, নির্দিষ্ট ওই দিনের বিনিময় হার অনুযায়ী তার রপ্তানি আয় বুঝিয়ে দেবে বাণিজ্যিক ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র সারওয়ার হোসেন উদাহরণ দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, যদি কোনো রপ্তানিকারকের রপ্তানি আয় ১২০ দিনের হিসাবে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে আনার বা নগদায়ন করার কথা থাকে এবং কোনো কারণে ওই সময়ের মধ্যে তা না আসে বা নগদায়ন না হয়, সেক্ষেত্রে যখনই তিনি ওই অর্থ নগদায়ন করুন না কেন, তার ক্ষেত্রে ২৮ ফেব্রুয়ারির ডলারের বিনিময় হার প্রযোজ্য হবে। ডলারের বিনিময় হার পরবর্তিতে বৃদ্ধি পেলেও নতুন দরে নগদায়ন করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রতিটি ব্যাংককে নির্দিষ্ট ওই তারিখ, অর্থাৎ রপ্তানি আয় দেশে আসার সর্বশেষ তারিখ ও নগদায়নের তারিখে থাকা ডলারের বিনিময় দর একটি লেজারে লিপিবদ্ধ রাখতে হবে। প্রতি মাস শেষে পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “ডলারের চাহিদার বিপরীতে যোগান এখনো আশানুরূপ হয়নি। অনেক রপ্তানিকারকই রপ্তানি আয় যথা সময়ে দেশে আনছেন না। আবেদন করে সময় বাড়িয়ে নিচ্ছেন। এতে ডলারের সংকট বেড়ে বিনিময় দরে প্রভাব পড়ছে।

“ডলারের বাড়তি দর পেতে রপ্তানিকারকরা এমন করছেন। তারা যাতে যথা সময়ে রপ্তানি আয় দেশে আনেন এবং নগদায়ন করেন, তা নিশ্চিত করতে বিনিময় হার নির্ধারণ করে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে কেউ দেরি করে আনলেও বাড়তি সুবিধা পাবেন না।”