বর্তমানে শুধু ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী এডি (অথরাইজড ডিলার) শাখায় ডলার কেনাবেচা করা যায়।
Published : 22 Aug 2022, 12:44 AM
গ্রাহকের ডলার কেনা সহজ করতে ব্যাংকের অন্যান্য সাধারণ শাখায় নগদ ডলার বিক্রির অনুমোদন চেয়েছে ২০টির বেশি ব্যাংক।
এসব ব্যাংক বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী এডি (অথরাইজড ডিলার) শাখার বাইরে আরও ছয় শতাধিক শাখায় ডলার বিক্রি করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া সুযোগ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে আবেদন করেছে।
রোববার কোন ব্যাংক কোন কোন সাধারণ শাখায় ডলার বিক্রি করতে চায় সেটির প্রস্তাব জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। সবশেষ হিসাবে ২৬টির মত ব্যাংক ছয় শতাধিক নতুন শাখার তালিকা জমা দিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এখন এসব আবেদন বাছাই করে ব্যাংকের শাখাগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, শিগগির এ প্রক্রিয়া শুরু হবে। যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদন দেওয়ার কাজ চলতি সপ্তাহেই হয়ে যেতে পারে।
বর্তমানে অনুমোদন পাওয়া ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ৫০টির এডি শাখা রয়েছে।
সম্প্রতি ডলার সঙ্কট দেখা দিলে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে এডি শাখার বাইরে অন্যান্য সাধারণ শাখাতেও ডলার বিক্রি চালুর সুযোগ তৈরির বিষয়ে ঘোষণা দেয়।
গত ১১ আগস্ট নেওয়া এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর কাছে শাখার নাম প্রস্তাব করতে চিঠিও দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অনুমোদন পেলে এসব নন-এডি শাখায় একটি ডেস্ক থাকবে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার জন্য। গ্রাহক ওই ডেস্ক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য (আমদানি-রপ্তানি) কার্যক্রম পরিচালনায় বিশেষায়িত শাখাগুলো শুধু ডলার তথা বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচা করতে পারে।
এসব শাখা পরিচালনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয় ব্যাংকগুলোকে, যা এডি বা অথরাইজড ডিলার নামে পরিচিত।
ব্যাংকগুলোর এডি শাখা সাধারণত রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, বিভাগীয় শহর ও বন্দরগুলোতে অবস্থিত।
এডি শাখা কম থাকায় এবং ব্যাংকে পাসপোর্ট এনডর্সমেন্ট বাধ্যতামূলক হওয়ায় নগদ ডলার কিনতে গ্রাহকদের খোলা বাজারের উপরই বেশি নির্ভর করতে হয়। যেখানে পাসপোর্ট ছাড়াই প্রয়োজনীয় ডলার কেনা যায়।
আমদানি চাহিদা বাড়ায় ব্যাংকের পাশাপাশি খোলা বাজারেও ডলার সংকট দেখা দেয়। এতে দর বেড়ে ডলারের দাম ১২১ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল খোলা বাজারে সম্প্রতি।
আর ডলারের দর নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ১৩৫ মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ৪২টিকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়। এছাড়া পাঁচটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি, বাংলাদেশ ফরেইন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও মানি চেঞ্জারগুলোর
সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এসব বৈঠকে ডলার বিক্রিতে ব্যাংকের শাখা বাড়ানোর প্রস্তাব এলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাতে সাড়া দেয়।