‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।
Published : 18 Jan 2024, 05:16 PM
বাংলাদেশের নিজস্ব কার্ড ‘টাকা-পে’ দিয়ে শিগগিরই ভারতে গিয়ে লেনদেন করা যাবে বলে আশা করছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বৈঠকে টাকা-পে কার্ড নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যে আমাদের ‘টাকা পে’ প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। আমাদের উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ইন্টার অপারেটেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্লাটফর্ম ‘বিনিময়’ তৈরি করে ফেলেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকে গত পরশু দিন গিয়েছিলাম, এটার ইউজার ডাবল হয়ে গেছে। আমরা খুব খুশি।
“এখন ‘টাকা পে’র সঙ্গে রুপির কানেকশন করে দিতে পারলে ডিজিটাল পেমেন্টের ইন্টারফেসটা হয়ে যাবে। যেভাবে ভারতের সঙ্গে এখন সিঙ্গাপুরের লেনদেন হচ্ছে, যেভাবে প্যারিসে হচ্ছে…একইভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ডিজিটাল পেমেন্ট সলিউশনের ইন্টার কানেক্টিভিটি হবে।”
‘টাকা-পে’ হল এক ধরনের ডেবিট কার্ড। এ কার্ডের মাধ্যম প্রচলিত ভিসা বা মাস্টার কার্ডের মতই লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকরা। বাংলাদেশের ভেতরে বিভিন্ন ব্যাংক এই কার্ড ইস্যু করতে পারবে, নিয়ন্ত্রণ থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে। তাতে আন্তর্জাতিক কার্ডের ওপর নির্ভরতা কমার পাশাপাশি বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে।
‘টাকা-পে’ কার্ডের মত ভারতের রয়েছে ‘রুপি কার্ড’। একইভাবে শ্রীলঙ্কার ‘লঙ্কা-পে’, পাকিস্তানের ‘পাক-পে’, এবং মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবের ‘মাদা-কার্ড’ নামে নিজস্ব কার্ড রয়েছে।
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছাড়াও ভ্রমণ, চিকিৎসাসহ অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিকদের টাকাকে রুপি বা ডলারে পরিবর্তন করে নিতে হয়। ডুয়েল কারেন্সি বা দ্বৈত মুদ্রা ব্যবহারের সুবিধা যুক্ত হলে ‘টাকা-পে’ কার্ডের মাধ্যমে ভারতীয় মুদ্রা রুপিও ব্যবহার করতে পারবেন বাংলাদেশিরা।
এই কার্ডের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে দাবি করে পলক বলেন, “অর্থ পাচার, নগদ অর্থ পরিবহনের ঝুঁকি এড়ানো যাবে। একদিকে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা আসবে, ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে, মানুষের হয়রানিও কমবে। মানি লন্ডারিং কিংবা হুমকি- এগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।”
প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পাশে থাকবে ভারত।”