ঢাকার ৫ জায়গায় মানি এক্সচেঞ্জে সিআইডির অভিযান

এতে ১৩ জনকে আটক এবং ডলার ও টাকা উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা, যা বিস্তারিত জানানো হবে বুধবার।

রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে অভিযানে নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

অবৈধভাবে ডলার বেচাকেনার কার্যক্রম চলছে এমন তথ্যের সূত্র ধরে মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান ১ নম্বর, উত্তরার দুই জায়গা, আশকোনা ও মোহাম্মদপুর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, তাদের ‘ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট’ রাজধানীর পাঁচটি এলাকার মানি এক্সচেঞ্জে বিকাল থেকে অভিযান শুরু করে।

রাতে তিনি বলেন, “বিকাল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান শেষ হতে বেশ সময় লাগবে। বুধবার আমরা সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাব।”

• এবার মানি এক্সচেঞ্জের ডলার বিক্রির সীমা নির্ধারণ

• অস্থির ডলার বাজারে মানি এক্সচেঞ্জে ক্রেতা কম

অভিযানকালে ১৩ জনকে আটক এবং ডলার ও টাকা উদ্ধারের কথাও জানান তিনি।

এসব মানি এক্সচেঞ্জ অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল বলে সিআইডির কাছে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় একাধিক টিম এ অভিযান চালাচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সরবরাহ সংকটে খোলা বাজারে এবার ডলারের দর সেঞ্চুরি ছাড়ালে এবং দিনের পর দিন টানা দর চড়তে থাকার পেছনে মানি এক্সচেঞ্জগুলোর কারসাজির অভিযোগ ওঠে।

বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শনে নেমে মানি চেঞ্জারগুলোতে অনিয়মও খুঁজে পায়। তিন এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত ও ১১টির বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

• ৩ মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত, ১১টির বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

• ডলারে অনিয়ম: ৮০ মানি চেঞ্জারে গিয়ে ৪২টিকে ‘শো কজ’

• ডলারে লাগাম: ‘অবৈধ’ মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে সিআইডি

২০২২ সালের মাঝামাঝিতে ডলার নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানিয়েছিল অনুমোদিত ২৩৫টির বাইরে আরও ৭০০টির মত মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে।

ওই সময় সিইআইডি মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযানে নামার কথাও জানিয়েছিল। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বৈদেশিক মুদ্রার খোলা বাজারে স্থিতীশিলতা ফিরিয়ে আনা ও হুন্ডি বন্ধে মানি চেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকের পর সিআইডির অভিযানের বিষয়টি জানানো হয়।