ফাইবারগ্লাস মোবাইল টাওয়ার বসাতে ইডটকো ও হুয়াওয়ের সমঝোতা

ইডটকো বলছে, নতুন এই ফাইবারগ্লাস টাওয়ার প্রচলিত স্টিল টাওয়ারের চেয়ে ওজনে ৪৪ শতাংশ কম হবে এবং ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত নির্মাণ দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2024, 03:49 PM
Updated : 6 March 2024, 03:49 PM

দেশে ফাইবারগ্লাস রিইনফোর্সড প্লাস্টিক (এফআরপি) দিয়ে তৈরি টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ার বসাতে টাওয়ার পরিসেবা কোম্পানি ইডটকো ও চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুওয়াওয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্পেনের বার্সেলোনায় এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় বলে বুধবার হুওয়াওয়ে এবং ইডটকোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

মালয়েশিয়া ভিত্তিক কোম্পানি ইডটকো বাংলাদেশে শীর্ষ টাওয়ার পরিসেবা কোম্পানি। মোবাইল টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির গত জানুয়ারির হিসেবে সারা দেশে মোবাইল ফোনের টাওয়ার আছে ৪৪ হাজার ৬২৯টি। আর ইডটকোর হাতে টাওয়ার আছে ১৬ হাজার ৫৭৮টি।

এখন পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ টাওয়ারের অবকাঠামো তৈরি মূল উপাদান স্টিল। এর বাইরে ইডটকো বিভিন্ন সময় পরীক্ষামূলকভাবে ব্যাম্বু টাওয়ার, হাইব্রিড সোলার-উইন্ড টাওয়ার, স্প্যান প্রিস্ট্রেসড কংক্রিট টাওয়ার এবং স্মার্ট পোল স্ট্রিট ফার্নিচারের মত নতুন নতুন সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেছে।

২০২১ সালে ইডটকো ‘স্প্যান প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট’ দিয়ে তৈরি টাওয়ারের কথাও জানায়। স্প্যান প্রি-স্ট্রেসড কংক্রিট হচ্ছে স্টিল ও কংক্রিটের একটা মিশ্র অবস্থা।

বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন এই এফআরপি সলিউশন্স টাওয়ার প্রচলিত স্টিল টাওয়ারের চেয়ে ওজনে ৪৪ শতাংশ কম হবে এবং ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত নির্মাণ দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। ফলে এটি হবে দেশের জনবহুল এলাকাগুলোর রুফটপ সাইটের জন্য একটি আদর্শ সমাধান।

এই টাওয়ারগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে এতে রেডিও তরঙ্গ প্রতিফলিত না হয়। তাই এটি দক্ষ মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন নিশ্চিত করে। কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই হাই ভোল্টেজ সহ্যক্ষমতার এই টাওয়ার দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাছাড়া, এগুলো ইনস্টল এবং পরিবহন করাও সহজ। এর পরিবেশ-বান্ধব ফিচার কম কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ নিশ্চিত করে এবং এগুলো ঘন-ঘন রঙ করতে হয় না।

ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) সুনীল আইজ্যাকের ভাষ্য, “আমরা আশাবাদী যে, হুয়াওয়ের সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারত্ব অন্যদেরও এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে এবং সম্মিলিতভাবে দেশের শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধিতে আরও বেশি অবদান রাখবে। আমাদের এই অংশীদারত্ব হল বাংলাদেশের সমৃদ্ধিশীল টেলিকম অবকাঠামো উন্নত করার ক্ষেত্রে একটি অসাধারণ সুযোগের উপস্থাপন।”

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়ে বলেন, “সাইটের সুযোগ-সুবিধার সহজলভ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি টাওয়ার অবকাঠামো শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আমরা একসাথে কাজ করব। আমি বিশ্বাস করি, হুয়াওয়ের যুগান্তকারী উদ্ভাবনসমূহ এবং ইডটকোর দক্ষতার সমন্বয়ে আমরা একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাব।”