Published : 04 Apr 2025, 10:33 PM
ঈদুল ফিতরের সময় ঢাকার কাঁচা বাজারগুলোয় বেড়ে যাওয়া মুরগি ও গরুর মাংসের দাম ‘কিছুটা’ কমেছে, তবে মাছ ও সবজির বাজার ‘বেশ’ চড়া।
রাজধানীর টাউন হল, শিয়া মসজিদসংলগ্ন কাঁচাবাজার ও কৃষি মার্কেটের ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, গরুর মাংসের কেজি গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ২৫ থেকে ৫০ টাকা।
ঈদের বাজারে প্রতিকেজি মাংসের দাম উঠে যায় ৭৭৫ থেকে ৮০০ টাকা, যা শুক্রবার ৭৫০ টাকায় নেমে আসে।
শিয়া মসজিদসংলগ্ন বাজারের বিক্রেতা জুবায়ের হাসান বলেন, “ঈদের আগে মাংসের দাম বেড়ে যায়। কেজি ৮০০ টাকাও বিক্রি হয়েছে। আজ ৭৫০ টাকায় বিক্রি করছি।”
দাম কমেছে মুরগিরও। গেল শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোয় ব্রয়লার মুরগি ২৩০-২৪০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হয়, যা নেমে এসেছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়।
সোনালী মুরগির কেজি পড়ছে ৩২০ টাকা, যা ঈদের বাজারে ৩৫০ টাকাও পড়েছে।
সবজির বাজার ‘চড়া’
সরবরাহ কম থাকার ‘যুক্তিতে’ রাজধানীর বাজারগুলোয় বেশির ভাগ সবজির দাম বেড়েছে।
শুক্রবার এক কেজি ঢেঁড়স ৮০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০, মিষ্টি কুমড়া ৩০ ও টমেটো ৬০ টাকায় বিক্রি হয়।
গত সপ্তাহে এসব পণ্যের কেজি গড়ে ১০ থেকে ২০ টাকা কম ছিল।
এছাড়া বরবটির কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর মুখি ১২০ টাকা, কচুর লতি ১০০ থেকে ১১০ টাকা, সজনে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও ঝিঙা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা পেঁপে ও কাঁচা মরিচের দামও কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ঈদের পর লেবুর হালি পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা।
এছাড়া গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মূলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, খিরা ৮০ টাকা ও শসা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি মার্কেটের ক্রেতা আসাফ উদোল্লাহ আশিক বলেন, “সবজির দাম বেশি মনে হচ্ছে। সব সবজির দোকান খুলে নাই। তাই দাম বেশি রাখছেন বিক্রেতারা।”
সরবরাহ কম সয়াবিল তেলের
রাজধানীর কাঁচাবাজার ও মহল্লার দোকানগুলোয় সয়াবিন তেলের সরবরাহ কম থাকার কথা বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলছেন, তাদের হাতে যা তেল ছিল, ঈদের বাজারে শেষ হয়ে গেছে। তাই তেল এখন কম পাওয়া যাচ্ছে।
মোহাম্মদপুর হাউজিং লিমিটেডের এক নম্বর রোডে একটি দোকানে তেল কিনতে আসেন মোকাম্মেল চৌধুরী। দুই লিটার চাইলেও পাননি। পরে এক লিটার কিনেই ফিরতে হয় তাকে।
বিক্রেতা মোহাম্মদ বাবুল বলেন, “ঈদের আগেই প্রায় সব তেল বিক্রি হয়ে গেছে। কোম্পানি রোববার থেকে আবার দেওয়া শুরু করবে।”
মাছের বাজারও চড়া
মাংসের দাম কিছুটা কমলেও রাজধানীর বাজারগুলোয় মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। তবে সরবরাহও কম ছিল।
বড় আকৃতির রুই মাছের কেজি ছিল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, আর মাঝারি আকৃতি হলে দাম পড়ছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা। মাঝারি আকারের কাতল মাছ বিক্রি হয় ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে।
কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজারে শুক্রবার সকালে ছোট চিংড়ি বিক্রি হয় ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা। অন্যান্য মাছের মধ্যে শোল ৮২০ থেকে ৮৫০, ট্যাংরা ৭০০ থেকে ৮০০ ও দেশি পুঁটি বিক্রি হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে।