“আজকের যে তরুণ প্রজন্মের গ্রাহক, তাদের যদি বলা হয় যে প্যাকেজ থেকে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ তা তারা নির্ধারণ করতে পারছেন না- তাহলে তাদের বুদ্ধিমত্তাকে অপমান করা হয়।”
Published : 21 Jan 2025, 11:01 PM
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোবাইল ইন্টারনেটে ডেটা প্যাকেজের সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার পেছনের যুক্তিগুলোকে ‘প্রযুক্তি-প্রতিবন্ধী মানুষের কথাবার্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী।
মঙ্গলবার বিটিআরসির সভা কক্ষে টেলিযোগাযোগ খাতের সংস্কারের জন্য গঠিত কমিটির বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মোবাইলের ডেটা প্যাকেজের সর্বোচ্চ সংখ্যা ৪০টিতে বেঁধে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। ওই অনুষ্ঠানে তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছিলেন, “আগে অসংখ্য প্যাকেজ থাকায় মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়েছে, নতুন নির্দেশিকায় ৪০টি প্যাকেজ গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য দেবে।”
এতদিন ওই ৪০টি প্যাকেজেই ডেটা বিক্রি করেছে মোবাইল অপারেটরগুলো, যা নিয়ে তাদের অসন্তোষ ছিল। সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি ডেটা প্যাকের সংখ্যা উন্মুক্ত করে দেয় বিটিআরসি। তাতে ছোট মেয়াদের ইন্টারনেট প্যাক, ক্যারি ফরোয়ার্ডের সুযোগও ফিরেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় ঘোষিত সর্বশেষ এই ডেটপ্যাকের নিয়ম নিয়ে মোবাইল অপারেটরগুলো সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, “প্যাকেজের একটা সময় লিমিট দেওয়া ছিল যে এতগুলোর বেশি প্যাকেজ দেওয়া যাবে না। আমরা খোঁজ নিলাম যে লিমিট কেন দেওয়া ছিল। তখন আমরা শুনলাম যে গ্রাহকরা নাকি বুঝতে পারেন না, তারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন এতোগুলো প্যাকেজ থেকে কোনটা নেবেন।
“আমি একজন টেকনোক্র্যাট (বিষয় বহির্ভূত ব্যক্তি) এবং আমার কাছে মনে হয় আজকের যে তরুণ প্রজন্মের গ্রাহক, তাদের যদি বলা হয় যে প্যাকেজ থেকে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ তা তারা নির্ধারণ করতে পারছেন না- তাহলে তাদের বুদ্ধিমত্তাকে অপমান করা হয়। এইসব কথাবার্তাগুলো প্রযুক্তি-প্রতিবন্ধী মানুষের কাছ থেকেই আসে। আমাদের আজকের মানুষ প্রযুক্তি প্রতিবন্ধী না।”
চেয়ারম্যান বলেন, “আমার ধারণা, প্রশ্নটা হওয়া উচিৎ সেটা যৌক্তিক কী না। একজন গ্রাহক যেন কোনো একটা লাইনে দাঁড়িয়েও এক ঘণ্টার জন্য ডেটা কিনতে পারেন, সেই সুযোগ তার থাকবে না কেন? কিন্তু কোম্পানি যদি এক ঘণ্টায় ১০ জিবি অফার করে সেটা অযৌক্তিক। এক ঘণ্টায় কি ১০ জিবি ব্যবহারযোগ্য? আমাদের প্রশ্ন করতে হবে ওই জায়গায় যে সেটা যৌক্তিক কি না। আর প্যাকেজের সংখ্যা এখনকার গ্রাহকদের জন্য কোন বিষয় না।”