দেশি বিদেশি চার প্রতিষ্ঠান থেকে এ সার কিনতে খরচ হবে ৭০৬ কোটি টাকা।
Published : 26 Dec 2024, 09:49 PM
সৌদি আরব, রাশিয়া, মরক্কো ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনবে অন্তর্বর্তী সরকার।
এর মধ্যে ইউরিয়া ৬০ হাজার টন, মিউরিয়েট অব পটাশ (এমওপি) ৩০ হাজার টন ও ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ৪০ হাজার টন। সব মিলিয়ে খরচ হবে ৭০৬ কোটি ৩২ লাখ ১২ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সার কেনার এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
বৈঠকের কার্যসূচি থেকে জানা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) এর কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনা হবে। এতে খরচ হবে ১২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। প্রতিটন সারের জন্য এতে খরচ হবে ৩৪৩ দশমিক ২৫ ডলার।
চলতি অর্থবছরে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার (কমবেশি ১০ শতাংশ) বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১২৫ কোটি ৮৮ লাখ ১২ হাজার টাকা। প্রতিটনের দাম পড়ছে ৩৪৯ দশমিক ৬৭ ডলার।
এদিকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার প্রডিংটর্গ ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর মধ্যকার চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার (কমবেশি ১০ শতাংশ) টন এমওপি সার আমদানি করা হবে। এর জন্য খরচ হবে ১৭৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা। প্রতিটনে ব্যয় হবে ৪৮৯ দশমিক ৭৫ ডলার।
এছাড়াও মরক্কোর ওসিপি ও বিএডিসির মধ্যকার চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার (কমবেশি ১০ শতাংশ) টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এর জন্য ব্যয় হবে ২৮০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। প্রতিটনের দাম ধরা হয়েছে ৫৮৪ দশমিক ৫০ ডলার।
একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯২ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ টাকা।