ডিম নিলামের প্রক্রিয়াটি আন্তর্জাতিক মানের: কাজী ফার্মস

ডিমের বাজার নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে কাজী ফার্মস।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2022, 06:59 PM
Updated : 12 Oct 2022, 06:59 PM

ডিমের বাজার নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে কাজী ফার্মস; তারা দাবি করেছে, তাদের নিলাম পদ্ধতি ‘আন্তর্জাতিক মানের’।

গত ৭ অক্টোবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত হয় ‘৪ হাত ঘুরে চলে ডিমের কারবার’ শিরোনামের প্রতিবেদন।

ওই প্রতিবেদনে বড় কোম্পানিগুলোর ডিম নিলাম পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ এসেছিল, যার মূল বক্তবটি ছিল বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলামের।

কাজী ফার্মসের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, কাজী ফার্মসের ডিম নিলাম প্রক্রিয়াটি ‘আন্তর্জাতিক মান’ মেনে করা হয়।

কৃষিজাত পণ্যের চাহিদা ও জোগানের কারণে দামে এক দিনের ব্যবধানেও পার্থক্য সারাবিশ্বেই হয়ে থাকে উল্লেখ করে এক্ষেত্রে নজির হিসেবে নিউ জিল্যান্ডে গ্লোবাল ডেইরি ট্রেড নিলামের কথা বলেছে কাজী ফার্মস।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, বিষয়গুলো না জানার কারণে কারও কাছে এটা অদ্ভুত মনে হতে পারে, তবে কাজী ফার্মস আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনেই নিলাম করছে।

নিলাম প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যায় কাজী ফার্মস বলছে, নিলামের প্রথাগত নিয়ম মেনেই তারা সর্বনিম্ন একটি ডাক ঠিক করে দেয়। এরপর ক্রেতারা ডাকতে থাকে, সেই ডাকের উপর ভিত্তি করেই দর ঠিক হয়।

নিলামে দর নির্ধারণে অন্য কোনো ডিম উৎপাদনকারীর সঙ্গে কাজী ফার্মসের কোনো যোগসাজশ নেই বলেও দাবি করা হয়। সেই সঙ্গে বলা হয়, নিজেদের বক্তব্যের সপক্ষে নথিপত্র গত ৬ অক্টোবর প্রতিযোগিতা কমিশনের শুনানিতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

Also Read: ৪ হাত ঘুরে চলে ডিমের কারবার

প্রতিবেদকের বক্তব্য

কাজী ফার্মসের নিলাম প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মফিজুল ইসলামের বক্তব্যই প্রতিবেদনে উদ্ধৃত করা হয়েছিল।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর শুনানিতে তিনিই বলেছিলেন, “নিলামে সাধারণত সর্বোচ্চ দরদাতার দরের ওপর ভিত্তি করে দাম ঠিক হয়। কিন্তু আপনারা যেটা করছেন তাতে মনে হচ্ছে নিলাম শেষে নিজেরাই দাম ঠিক করছেন। এটা অদ্ভুত।”

এই ‘অদ্ভুত’ শব্দটি প্রতিযোগিতা কমিশনের নিজেরই চয়ন, এখানে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কোনো বক্তব্য ছিল না।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে প্রথা মেনে কাজী ফার্মসের একজন কর্মকর্তার বক্তব্যও নিয়েছিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। তিনি বলেন, “আমরা বাজার অনুযায়ী সর্বনিম্ন একটা রেট দেই। নিলামে এসে ক্রেতাদের কেউ কেউ তার ডিম নিশ্চিত করে উঁচু রেট দিয়ে দেয়। এই দায় তো আমাদের না।”

প্রায় একই বক্তব্য প্রতিবাদলিপিতেও আছে।

কাজী ফার্মসের বাজার প্রভাবিত করার সুযোগ নেই বলে প্রতিবাদলিপিতে দাবি করা হয়।

একই বক্তব্য কাজী ফার্মসের ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনেও ছিল। যেখানে তিনি বলেন, “আমরা সারাদেশের ডিমের বাজারের সর্বোচ্চ ২.৫ থেকে ৩ শতাংশ ধারণ করি। ফলে, আমরা বেশি দামে বিক্রি করে বাজারে দাম বাড়িয়ে ফেলব এটি সঠিক নয়।”