“…আমাদের ডিমের কোনো সংকট নেই। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটের কারণে ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
Published : 14 Jan 2024, 08:42 AM
দেশে পর্যাপ্ত উৎপাদন হলেও ‘একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে’ ডিম আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএ।
সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেছেন, “ডিম ও মুরগি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। আমাদের প্রতিদিন সকল প্রকার ডিমের চাহিদা চার কোটি পিস, আর উৎপাদন আছে পাঁচ কোটি পিস।
“…আমাদের ডিমের কোনো সংকট নেই। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটের কারণে ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের উৎপাদন খরচের তুলনা করে পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ভারতে ৫০ কেজির এক বস্তা ব্রয়লার ফিডের মূল্য দুই হাজার ৭০০ টাকা, আর লেয়ার ফিডের মূল্য এক হাজার ৮৭৫ টাকা। বিপরীতে দেশের বাজারে তৈরি স্থানীয় ফিড উৎপাদনকারীরা একই পরিমাণ ব্রয়লার ফিড সাড়ে তিন হাজার টাকা আর লেয়ার ফিড দুই হাজর ৯০০ টাকায় বিক্রি করছে।
একইভাবে ভারতে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার প্রতিটির দাম ২৮ টাকা ও লেয়ারের দাম ২৫-৩০ টাকা হলেও বাংলাদেশে ব্রয়লার বাচ্চার দাম ৫০-৬০ টাকা এবং লেয়ার বাচ্চার দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফিডে ভারতের চেয়ে প্রতি বস্তায় ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে বাংলাদেশে। আর মুরগির বাচ্চা কেনায় ২২ থেকে ৪৫ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। তাতে দেশে ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচ বেশি হচ্ছে।
“মুরগি ও ডিম উৎপাদনের প্রধান খরচ ফিডের দাম কমাতে পারলেই শুধু উৎপাদন খরচ কমানো যাবে। এজন্য ডিমের বদলে ফিড ও মুরগির বাচ্চা আমদানি করে উৎপাদন খরচ কমানো যায়,” বলেন সুমন হাওলাদার।
পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার বলেন, “আমদানি করে ডিমের দাম সাময়িকভাবে কিছুটা কমানো গেলেও ভবিষ্যতে ডিমের দাম ২০ টাকার উপরে চলে যাবে। কারণ হচ্ছে প্রতিযোগিতায় প্রান্তিক খামারিরা টিকে থাকতে পারবে না।
“এখন দেশের কর্পোরেট প্রতিষ্টানগুলো ডিম ও মুরগি ব্যবসায় নেমেছে। বাজার তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। তারাই আগামীতে দাম বাড়িয়ে দেবে।”
ডিম আমদানি বন্ধ করে কীভাবে খাবারের দাম কমিয়ে ও কর্পোরেট সিন্ডিকেট ভাঙা যায় সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দেন ইলিয়াস।
অন্যদের মধ্যে পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি বাপ্পি কুমার দে, খামারি জাকির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)