কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে ৪৬ সদস্যের এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে
Published : 29 Jun 2024, 11:10 AM
প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পর চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছে ছাত্রলীগ।
কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে ৪৬ সদস্যের এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে শুক্রবার।
ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাশেদুল ওয়াহিদ অতুলকে সভাপতি ও ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রুবাইদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে কমিটিতে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এ কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে ২২ জনকে।
আর আট জন করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাখা হয়েছে।
এক বছরের জন্য ঘোষিত এ কমিটিতে অন্য কোনো পদে নাম ঘোষণা করা হয়নি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত সিভাসুর ছাত্র রাজনীতি দুই বলয়ে বিভক্ত। একটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর অনুসারী। যারা বর্তমানে মহিউদ্দিন পুত্র ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে পরিচিত।
আরেকটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।
নতুন কমিটিতে দায়িত্ব পাওয়া সভাপতি, সম্পাদক দুজনেই নওফেল অনুসারী।
২০০৫ সালে কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে। ২০১০ সালের শেষ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। যাদের তিন মাসের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু সে কমিটি আর পূর্ণাঙ্গ হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০১০ সালে কমিটি গঠনের পর ছাত্রলীগের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানা কারণে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। ক্যাম্পাসে আন্দোলনের পর পাঁচজন ছাত্রলীগ নেতা কর্মীকে আজীবন বহিস্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার হয় ২০২২ সালে।”
দীর্ঘদিন সিভাসুতে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় বিভিন্ন কিছুতে বিশৃঙ্খলা হতে মন্তব্য করে শুভ আরও বলেন, “আমাদের আশা কমিটি গঠন হওয়ায় ছাত্রলীগ এবার সিভাসুর সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।”