তিনি বলেছেন, “অবস্থার প্রেক্ষিতটা পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে এবার রপ্তানি আয় আগের থেকে কমবে না। বরং আগের থেকে বেশি হবে। আমেরিকাও সবদিক থেকে ইতিবাচক দৃষ্টি রাখবে।”
Published : 08 Sep 2024, 06:05 PM
অর্থবছরে শুরুতেই আন্দোলন-সরকার বদলের ধাক্কায় অর্থনীতিতে স্থবিরতা চললেও এবার রপ্তানির আয় ১২ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি বাড়বে বলে আশা করছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, “অবস্থার প্রেক্ষিতটা পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে এবার রপ্তানি আয় আগের থেকে কমবে না। বরং আগের থেকে বেশি হবে। আমেরিকাও সবদিক থেকে ইতিবাচক দৃষ্টি রাখবে।”
রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ১৪৬তম এবং বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের ৫৯তম পর্ষদ সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে মোট ৪ হাজার ৮১ কোটি ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক আগের অর্থবছরের (২০২২-২৩) চেয়ে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ কম। অর্থবছরের শুরুতে পুরো ১২ মাসের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির রপ্তানির তথ্যে পার্থক্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “রপ্তানি নিয়ে কিছু কিছু তথ্যগত ইস্যু ছিল। আমরা এগুলো নিয়ে আলাপ করেছি। যারা যারা তথ্য সংগ্রহ করে, আমরা সবগুলো চালু রাখব। আমরা সবগুলো সমন্বয় করে সত্য চিত্র দেব। এক একজন এক এক রকম তথ্য দেবে, সেটা হবে না। কিছুটা পার্থক্য থাকে, কিন্তু বিরাট অসঙ্গতি থাকতে পারবে না।
“আমরা চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের একটা লক্ষ্য ঠিক করেছি। ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরেছি। অর্থাৎ, এবার যা হয়েছে তার থেকে ১২ শতাংশ বেশি হবে। ফিগার এখন বলছি না, পরে ওরা বলে দেবে।”
তিনি বলেন, রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব বাধা আছে রেগুলেটরি, ট্যাক্স সংক্রান্ত সেগুলো আমরা রিভিউ করব। রপ্তানি যেন ডাইভারসিফায়েড (বহুমুখীকরণ) করা হয়, সেটা আমাদের লক্ষ্য। একটা দুইটা পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। ৭০০ থেকে ৮০০ পণ্য রপ্তানি হয়। সেখানে যেগুলোর রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব সেই দিকে আমরা নজর দেব।
জানুয়ারিতে বাণিজ্য মেলা বা শিল্প মেলা হয়। এবার ইনোভেটিভি বিষয় থাকবে। যারা রপ্তানি করে তাদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকবে। খাবার দাবারের দোকানের সঙ্গে রপ্তানিমুখী কোম্পানির স্টল মিশে গেলে সমস্যা। তবে বিনোদন ও খাবার দাবারের দোকান তো থাকবে।
জিএসপি সুবিধা প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, জিএসপি সুবিধার জন্য এরই মধ্যে তাদের বলা হয়েছে। আমরা আবার চেষ্টা করব। আমরা আশা করি, আমেরিকা আমাদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টি রাখবে সবদিক থেকে। অতএব জিএসপিটা পজেটিভ। আমরা অন্যান্যদের সঙ্গে আলাপ করছি রপ্তানির বিষয়ে। তাদের কিছু জানার ছিল, আমরা উত্তর দিয়েছি। ওয়াশিংটনে গেলে এটা নিয়ে সরাসরি কথা হবে। খুব কঠিন হবে না। ডিসেন্ট ওয়ার্ক নিয়ে হয় তো ওরা কিছু বলতে চাইবে।