বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগী হতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
Published : 27 Oct 2022, 10:32 PM
বাংলাদেশের বর্তমান জ্বালানি সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব কমার্স ফর গ্লোবাল মার্কেটস অরুন ভেঙ্কটারামন।
তিনি বলেছেন, “সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে; তবে এখন জ্বালানি নিয়ে সংকটে পড়েছে। এই সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা এদেশে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।”
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে কমার্শিয়াল সার্ভিস অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস উপস্থিত ছিলেন।
ইউএস অ্যান্ড ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিসের মহাপরিচালক ভেঙ্কটারামন বলেন, “বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং জ্বালানি খাত বিশেষ করে এলএনজি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাবসায়ীরা এখন প্রস্তুত।”
বাণিজ্য নিয়ে নতুন অফিস চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, “যখন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছে, এটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের শক্তিশালী ভিত্তিকে প্রসারিত করার একটি উপযুক্ত মুহুর্ত।
“আমাদের দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে এ ধরনের গতিশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে ব্যবসা করতে সহায়তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই নতুন কমার্শিয়াল সার্ভিস অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।“
বিশ্বজুড়ে ১২২টি ও যুক্তরাষ্ট্রের ১০০টির বেশি শহরে দেশটির কমার্শিয়াল সার্ভিসের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক রয়েছে জানিয়ে ভেঙ্কটারামন বলেন, “এই অফিস যেখানে থাকে, সেখানে আন্তর্জাতিক ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও ব্যবসায়ীদের সকল তথ্য ও প্রয়োজনে যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে বাংলাদেশেরও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হলো।”
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন থার্ড টার্মিনালকে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সেবা ছাড়াও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আরও অনেক ক্ষেত্র আছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপক লাভবান হতে পারে।”
ভেঙ্কটারামন বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে চলেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগী হতে চায়।
“বাংলাদেশের উন্নয়নশীল এবং উন্নত রাষ্ট্র হতে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে আমরা সহযোগিতা করতে চাই।”
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে কিভাবে বিনিয়োগ করবে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতেও আমরা এদেশে ব্যবসা করতে চাই।”