বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি স্কয়ার ও বেক্সিমকোর কারখানা যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (ইউএস এফডিএ) অনুমোদন পেয়েছে।
Published : 23 Jun 2015, 06:53 PM
মঙ্গলবার পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করেছে বেক্সিমকো ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
এখন কোম্পানি দুটির ওষুধের তালিকায় এফডিএ অনুমোদন দিলেই যুক্তরাষ্ট্রেও ওষুধ রপ্তানি করতে পারবে।
স্কয়ারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৬ জুন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের গাজীপুরের ওরাল সলিড ডোসেজ প্ল্যান্ট পরিদর্শনের বিষয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
“প্রকাশিত রিপোর্টটিতে স্কয়ারের কারখানার উৎপাদন মানকে (current Good Manufacturing Practice- cGMP) সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করা হয়।”
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ঔষধ কোম্পানি পরিদর্শন করে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ প্রতিনিধি দল।
এফডিএর অনুমোদন ছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওষুধের বাজার যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ রপ্তানি সম্ভব নয়।
বর্তমানে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াসহ মোট ৩৯টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে স্কয়ার।
বেক্সিমকোর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর জানুয়ারিতে টঙ্গীতে অবিস্থিত বেক্সিমকোর কারখানার ওরাল সলিড ডোসেজ ফ্যাসিলিটি পরিদর্শন করে এফডিএ প্রতিনিধি দল।
“কারখানা পরিদর্শন প্রেক্ষিতে কোম্পানিটি ইউএস ড্রাগ অথরিটির কাছ থেকে এস্টাবলিশমেন্ট ইন্সপেকশন রিপোর্ট পেয়েছে, যেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে অডিট নিস্পত্তির উল্লেখ রয়েছে।”
ওষুধ উৎপাদন, গুণগতমান, সুবিধা ও যন্ত্রপাতি, উপাদান, উৎপাদন ক্ষমতা, প্যাকেজিং, লেবেলিং এবং ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণসহ ৪৮৩টি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ইউএস এফডিএ এই অনুমোদন দিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এতে বলা হয়, বেক্সিমকো ফার্মা ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ রপ্তানির উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি ওষুধের জন্য অনুমোদন চেয়ে আবেদন জমা দিয়েছে। অনুমোদন পেলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ওষুধ রপ্তানি শুরু করবে বেক্সিমকো ফার্মা।
এবিষয়ে বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, “বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের জন্য এটা দারুন এক অর্জন। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ওষুধ রপ্তানির সুযোগ তৈরিই শুধু নয় তাদের অনুমোদন লাভ করাও গৌরবের। কেননা তারা নিয়ম-নীতি এবং গুনগতমানের ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর।”
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, তাইওয়ান ও ব্রাজিলসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন রয়েছে বেক্সিমকোর।