নম্বর অপরিবর্তিত রেখে সুবিধামতো অপারেটরের গ্রাহক হওয়ার সুযোগ (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি) পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকরা।
Published : 26 Apr 2013, 01:29 PM
দীর্ঘ দিন ঝুলে থাকার পর অপারেটরদের জন্য এই এমএনপি নির্দেশনা চূড়ান্ত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অপারেটরদের জন্য এমএনপি নির্দেশনা চূড়ান্ত করা হয়েছে, আগামী কমিশন বৈঠকে নির্দেশনা অনুমোদন হবে।”
অনুমোদনের পরপরই গ্রাহকরা খুব দ্রুত এমএনপি সেবা পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
অবশ্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রাহক সংখ্যার (৪ কোটি বেশি) অপারটের গ্রামীণ ফোন জানিয়েছে এমএনপি চালু হলে মোবাইল ফোন খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বর্তমানে ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অন্য মোবাইল অপারেটরে স্থানান্তর হওয়ার কোনো সুযোগ নেই গ্রাহকদের। এ অবস্থায় ভাল নেটওয়ার্ক, গ্রাহক সেবা ও সুলভ মূল্যের টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণ করতে পারছেন না। ফলে নম্বর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে গ্রাহকের নম্বর, সেই সঙ্গে নতুন করে দিতে হচ্ছে যাবতীয় তথ্য।
গ্রাহকের ক্ষমতায়নের জন্য পোস্টিং সার্ভিস প্রচলন এবং পরিচালনা পদ্ধতি বিষয়ে নির্দেশনাবলী প্রণয়ণ করতে বিটিআরসি প্রায় এক বছর ধরে কাজ করে আসছে।
বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নির্দেশনা জারির ছয় মাসের মধ্যেই গ্রাহকদের এ সুবিধা দেয়ার জন্য অপারেটরদের সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
এমএনপি চালু হলে গ্রাহক ধরে রাখতে কোম্পানিগুলোর মধ্যেও নতুন করে প্রতিযোগিতা তৈরি হবে বলে ধারণা করছে বিটিআরসি। ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি পরিসেবা চালু রয়েছে।
বিটিআরসি চূড়ান্ত করা নীতিমালায় বলা হয়েছে, এমএনপি সুবিধা পেতে গ্রাহকদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে অন্য অপারেটরে যেতে হবে। তবে অপারেটর পরিবর্তন করলে নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত ওই অপারেটরেই থাকতে হবে গ্রাহককে। এতে অপারেটরগুলোর মধ্যে রাজস্ব ভাগাভাগির বিষয় থাকবে।