বন্ড লাইসেন্সধারী নন এমন রপ্তানিকারকদের প্রণোদনা বন্ধ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা পর্যালোচনায় কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
Published : 16 Sep 2021, 09:15 PM
বৃহস্পতিবার এনবিআর, বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দসহ ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এই কমিটিতে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিকেএমইএর প্রতিনিধিরা থাকবে।
“কমিটি পর্যালোচনা করে একটা সমাধানের পথ বের করবে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের প্রথম দিন রোববারই এই নিয়ে একটা চিঠি ইস্যু হবে।”
দেশে এখন সাত শতাধিক কারখানা বন্ড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি সুবিধা ও রপ্তানি প্রণোদনা সুবিধা নিচ্ছে বলে এনবিআর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বন্ড লাইসেন্স নেই এমন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলা বন্ধ রাখতে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে এনবিআর।
আইন অনুযায়ী, বন্ড লাইসেন্সধারী রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান তার ক্রয়াদেশের বিপরীতে ব্যাক টু ব্যাক এলসি চালু করার সুবিধা পায়। অর্থাৎ ক্রয়াদেশের মূল্যমান অনুযায়ী বিদেশ থেকে কাঁচামাল আনতে অর্থ সহায়তা দেয় ব্যাংক; পাশাপাশি পণ্য আনতে মিলে শুল্কমুক্ত সুবিধা।
পর্যালোচনা চলাকালীন এনবিআরের ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “চিঠি সে-ই স্থগিত করতে পারে যে ইস্যু করেছে…. ফাইনাল ডিসিশন কামস ফ্রম দ্যাট কমিটি (চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিটিই দেবে।”
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এই আলোচনা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, তিনি এনবিআরসহ অন্যান্য সবার সাথে কথা বলে একটা পরামর্শ দেবেন।
বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, “ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যেই চিঠিটা ইস্যু হয়েছে সেটা আমরা আপাতত স্থগিত রাখার অনুরোধ করেছি।”
কী ধরনের ভুল বোঝাবুঝি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাক টু ব্যাক এলসি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ‘প্রণোদনার অপপ্রয়োগ বন্ধ করতে’ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ই ব্যাক টু ব্যাক এলসির ক্ষেত্রে স্থানীয় বাজার থেকে কাঁচামাল কেনার সুযোগ দিয়েছিল।