টেলিযোগাযোগ সেবার মান উন্নয়নে টাওয়ার স্থাপন কার্যক্রম ত্বরাণ্বিত করতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মোবাইল টাওয়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
Published : 05 Nov 2020, 09:20 PM
বিটিআরসি বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে শক্তিশালী মোবাইল নেটওয়ার্ক কাঠামো গঠন এবং প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত এর সুফল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিটিআরসি কার্যালয়ে লাইসেন্সপ্রাপ্ত মোবাইল টাওয়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে টাওয়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিটিআরসিকে এ প্রতিশ্রুতি দেয়।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার মো. মুহিউদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে বৈঠকে চারটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের অপারেশনাল কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করেন।
সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আল ইসলাম বলেন, বাংলালিংকের সাথে সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট সম্পন্ন সাপেক্ষে ২৫৯টি টাওয়ার নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তারা।
২০২০ এর ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫০টি এবং ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাকি ১০৯টি টাওয়ার নির্মাণ করবেন বলে জানান আরিফ আল ইসলাম।
ইডটকো বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক (প্রকৌশল) সাব্বির আহমেদ অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনায় কিছু প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরে বলেন, কমিশন থেকে যে কোনো ইস্যু স্বল্পতম সময়ে যেন সমাধান করা হয় এবং বাজার প্রতিযোগিতায় আইন ও বিধানের বাইরে কাজ করলে তার বিষয়ে কঠোর রেগুলেটরি হস্তক্ষেপের বিষয়ে যেন স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেডের ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেসের প্রধান আনিস আহমেদ বলেন, “বিভিন্ন অপারেটরের সাথে বাণিজ্যিক আলাপ আলোচনায় প্রায় শেষের দিকে রয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে শীঘ্রই দেশের বিভিন্ন স্থানে টাওয়ার নির্মাণ শুরু করা যাবে।”
এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসেন মঞ্জুরুল হাসান জানান, আগামী তিন মাসে তিনশ টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। মোবাইল অপারেটর রবির সাথে ১০০ টাওয়ার নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ এবং ইতোমধ্যে ৪৭টি টাওয়ার নির্মাণ করে রবিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫৩টির কার্যক্রম এই মাসেই শেষ করা হবে।
কমিশনের চেয়ারম্যান সব টাওয়ার লাইসেন্সধারীদের মোবাইল অপারেটরদের সাথে সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
উপস্থিত কোম্পানি প্রতিনিধিরা টাওয়ার নির্মাণে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ বিষয়ে কমিশন থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের নভেম্বরে চার প্রতিষ্ঠানকে মোবাইল ফোন টাওয়ার শেয়ারিংয়ের লাইসেন্স দেয় সরকার।