ভোডাফোন গ্রুপের কাছে ২০০ কোটি ডলারের কর দাবির মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের পর এবার আন্তর্জাতিক বিচারেও হেরে গেছে ভারত সরকার।
Published : 25 Sep 2020, 08:31 PM
শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল আর্বিট্রেশন ট্রাইব্যুনাল ওই দেশি কোম্পানিটির পক্ষে রায় দেয় বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সুদ ও জরিমানাসহ যে করদায় ভোডাফোনের উপর ভারত আরোপ করেছিল, তাকে নেদারল্যান্ডস ও ভারতের মধ্যে আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন বলে রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
সুদ ও জরিমানাসহ ২০০ কোটি ডলারের কর এবং আরও ১৮৯ কোটি ডলার ভোডাফোনের কাছে ভারত দাবি করেছিল বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
ভারতের এই সিদ্ধান্তকে ‘ন্যায় ও সমতাভিত্তিক আচরণের নীতির লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করে উল্টো ক্ষতিপূরণ বাবদ মামলার খরচ হিসেবে ভোডাফোনকে প্রায় ৫৫ লাখ ডলার দিতে বলেছে ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের পর ভোডাফোন যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে এই ক্ষতিপূরণের অংক গোপন রাখা হয়েছে। তবে রায়ের খবরে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১৩ শতাংশ বেড়েছে।
পুরনো কর দাবি ও চুক্তি বাতিল নিয়ে কেয়ার্ন এনার্জিসহ অনেকগুলি কর্পোরেট কোম্পানির সঙ্গে প্রায় এক ডজন মামলায় আটকে আছে ভারত। এসব মামলায় সরকারকে কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতিপূরণও দিতে হতে পারে।
রয়টার্স বলছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের আর্বিট্রেশন মামলা এড়াতে ভারত প্রায় ৫০টি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে। পাশাপাশি নীতিমালা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে করের দাবি থেকে সরে না এসেও বিদেশি কোম্পানিকে কীভাবে স্বস্তি দেওয়া যা সেধরনের নতুন আইন প্রণয়ন করছে দেশটি।
২০০৭ সালে হাচিসন হোয়াম্পোয়ার সঙ্গে এক হাজার ১০০ কোটি ডলারের অধিগ্রহণ চুক্তির পর থেকে ভারতের সঙ্গে এই কর দাবির মামলায় আটকে আছে ভোডাফোন। অধিগ্রহণ বাবদ ভারত ভোডাফোনের কাছে কর দাবি করেছিল, কিন্তু তার বিরোধিতা করে আসছিল কোম্পানিটি।
এই মামলায় ভোডাফোনের আদালতে যায়। ২০১২ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ভোডাফোনের পক্ষেই রায় দেয়। কিন্তু এরপরই ভারত আইন পরিবর্তন করে পুরনো চুক্তির ওপরও করারোপের বিধান যুক্ত করে।
এরপর ভোডাফোন ইন্টারন্যাশনাল আর্বিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে, প্রায় ছয় বছর পর শুক্রবার যার রায় দিল আদালত।