বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, এক দশক আগে আওয়ামী লীগের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’র ঘোষণায় অনেকে হাসি-ঠাট্টা করলেও এখন তার সুফল পাচ্ছে দেশের জনগণ।
Published : 09 Oct 2019, 12:50 AM
মঙ্গলবার অনলাইন কেনাবেচার মাধ্যম দারাজ আয়োজিত এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে প্রায় দুই হাজার বিক্রেতাকে নিয়ে এই সম্মেলন করে দারাজ।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, “২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে তারা বলেছিল, বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করা হবে। সে সময় এটা নিয়ে অনেকেই ঠাট্টা করেছিলেন, কিন্তু আজকে জাতি তার সুফল পাচ্ছে। এখন গ্রামে গ্রামে ইউনিয়নে ইউনিয়নে নেটওয়ার্ক পৌঁছে গেছে, দারাজও ডিজিটাল বাংলাদেশের একটা বড় উদাহরণ।”
তিনি বলেন, “আমি জেনে খুশি হয়েছি যে, দারাজে যে সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে তারা সবাই বাংলাদেশি অর্থাৎ এখানে সব বাংলাদেশিরাই কাজ পাচ্ছে। এটাও দেশের জন্য অনেক ভালো।”
এটা দারাজের দ্বিতীয় বিক্রেতা সম্মেলন। বিক্রেতারা কীভাবে দারাজের ওয়েবসাইটের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন, কীভাবে তারা আরও বিক্রি বাড়াতে পারবেন, ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন- সে বিষয়গুলো নিয়েই ধারণা দেওয়া হয় এই সম্মেলনে।
দারাজ-এর সিইও বারাক মিকেলসন বলেন, “গত বছরের তুলনায় আমাদের ব্যবহারকারী বেড়েছে ১০০ শতাংশ, গ্রাহক বেড়েছে ২০০ শতাংশ এবং অর্ডার বেড়েছে আড়াইশ শতাংশ।”
দারাজ বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদুল হক বলেন, “২০১৫ সালে দারাজের বিক্রি ছিল ৫৬ কোটি, ২০১৯ সালে বিক্রি প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা হয়েছে।
“আমরা চাই, দিন দিন আরও বড় হোক এবং বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে যেন দারাজ কাজ করতে পারে।”