মজুদ বাড়াতে এবার আমন মৌসুমে গতবারের চেয়ে এক লাখ টন বেশি চাল কেনার পরিকল্পনা করেছে সরকার; প্রতি কেজি চালের জন্য দাম ঠিক হয়েছে ৩৩ টাকা।
Published : 27 Nov 2016, 03:18 PM
সচিবালয়ে রোববার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ মার্চ তিন লাখ মেট্রিক টন আমন চাল সংগ্রহ করা হবে। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ টনের।
“এবার কেজিপ্রতি আমন ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে ১৯ টাকা, প্রতিকেজি চালের উৎপাদন খরচ হয়েছে ২৯ টাকা। এবার আমন চাল ৩৩ টাকা করে সংগ্রহ করব।”
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর প্রতি কেজি আমন ধান উৎপাদনে সাড়ে ১৮ টাকা এবং চাল উৎপাদনে সাড়ে ২৮ টাকা ব্যয় হওয়ায় ৩১ টাকা কেজি দরে চাল কেনা হয়েছিল।
সরকারের নির্দেশনার পরও অটোমেটিক বা সেমি-অটোমেটিক মিলে রূপান্তরিত না করায় এবারই শেষবারের মত হাসকিং মিল থেকে চাল কেনা হবে বলে জানান কামরুল।
“হাসকিং মিলগুলোকে অটোমেটিক মিলে রূপান্তর করতে বার বার নির্দেশনা দিলেও তারা তা করেনি, সেমি-অটোমেটিক মিলেও রূপান্তর করেনি। ২০১৪ পর্যন্ত শেষ সময় ছিল, পরে ২০১৫ পর্যন্ত সময় নেয়। এখনও অধিকাংশ হাসকিং মিল সেমি-অটোমিলে রূপান্তরিত হয়নি।
“আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবারই হাসকিন মিল থেকে শেষবারের মত চাল কেনা হবে। আগামী বোরো মৌসুম থেকে আমরা কোনো হাসকিং মিলের সাথে চাল কেনার চুক্তি করব না, এটা ফাইনাল সিদ্ধান্ত।”
“গতবার আমাদের অস্বাভাবিক মজুদ ছিল। এখন যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই মজুদ আছে। টিআর-কাবিখা এখন টিআর-কাবিটায় রূপান্তরিত হয়েছে। সেখানে আট লাখ টনে কিন্তু আমাদের চলে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে যে মজুদ আছে তা সন্তোষজনক, মজুদ কম নাই।”
চালের মজুদের কারণে হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকায় চাল বিতরণ কর্মসূচিতে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “সেখানে সাড়ে ৭ লাখ টন চাল লাগবে, তবে সেটা একসঙ্গে লাগবে না। ফলে চাল সংগ্রহ হবে এবং বেরও হবে। হিসেব করে গোডাউনে চাল রাখতে হবে। মজুদ কম বলে যারা বিরূপ মন্তব্য করেন তারা সঠিক বলেন না।”
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।